বিনোদন ডেস্ক : শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানকে গ্রেফতারের সময় প্রমোদতরীতে ছিলেন এক আন্তর্জাতিক মাদক মাফিয়া। তা জানা সত্ত্বেও নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) তাকে ছেড়ে দিয়েছে। ধরে এনেছে আরিয়ানসহ আরও কয়েকজনকে।

সম্প্রতি এই অভিযোগ করেছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের বন্ধু হওয়াতেই ওই মাদক মাফিয়াকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ মালিকের।

বুধবার এ নিয়ে নবাব মালিক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক এক মাদক মাফিয়া নিজের প্রেমিকার সঙ্গে ছিলেন প্রমোদতরীতে। তার বান্ধবী সে সময় নাচে মত্ত ছিলেন। তার হাতে অস্ত্রও ছিল। এনসিবির সব অফিসাররা জানতেন, ওই মাফিয়া প্রমোদতরীতে রয়েছেন। কিন্তু তারা সে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

ওই মাফিয়ার দাড়ি ছিল। ওকে না ধরে শাহরুখের ছেলেকে ধরে কারাগারে পাঠিয়ে মজা করা হচ্ছে। মাফিয়াকে বাঁচাতেই এই নাটক। শিগগিরই আমি আরও বিস্তারিত জানাবো এ ব্যাপারে।’

ওই মাফিয়াকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে সরাসরি দায়ী করেছেন নবাব। তিনি বলেছেন, ‘মাদক মাফিয়া ওয়াংখেড়ের বন্ধু। তাই তাকে ছাড় দেয়া হয়েছে।’

মাদক কাণ্ডে আরিয়ানের নাম জড়ানো পর থেকেই নবাব দাবি করেছেন, ফাঁসানো হয়েছে শাহরুখের ছেলেকে। এর জন্য বারবার ওয়াংখেড়েকেই দায়ী করেছিলেন তিনি।

তার আরও অভিযোগ, এনসিবি কর্মকর্তারা বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরই নিশানা বানাচ্ছেন। বলিউডের অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর রিয়া চক্রবর্তীর মামলা ঘিরে এই ‘খেলা’ শুরু হয়েছে বলে মত নবাবের।

মালিকের অভিযোগ, রিয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা ছিল। হাই কোর্টও রিয়াকে বেকসুর খালাস করেছে। তারপরই হঠাৎ করে দেখা গেল, বলিউডের বেশ কয়েকজনকে এ বিষয়ে ডাকা হল। হেনস্থা করতেই তাদের ডাকা হয়েছে।

এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘দীপিকা পাড়ুকোন, সারা আলি খান, শ্রদ্ধা কাপুরকে তদন্তের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের নজরও সে দিকেই ছিল। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি।’

ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য ও প্রমাণও তার হাতে রয়েছে বলে দাবি মালিকের।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ২৭, ২০২১)