নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ ছাড় না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সুবিধাভোগী বিদ্যালয়গুলোর কাজ করার জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ নিতে গেলে স্কুল প্রধানদের হয়রানী করারও অভিযোগও পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, জাতীয়করন হওয়া উপজেলার চকাদিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন একটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিদ্যালয়টির মেরামতের জন্য ২লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই টাকা শিক্ষা কর্মকর্তা তার কাছেই রেখে দিয়েছেন। অথচ স্কুলের কিছু জরুরী কাজ করাও খুব জরুরী হয়ে পড়েছে। স্কুল প্রধান ব্রেঞ্চসহ অন্যান্য উপকরন ক্রয়ের জন্য ওই টাকা আজ পর্যন্ত উত্তোলন করতে পারেননি। কর্মকর্তা নানা বাহানায় স্কুল প্রধানকে হয়রানী করছেন বলে জানান চকাদিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজুফা খানম।

একই দৃশ্য উপজেলার পোঁওতাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান মুঠোফোনে জানান, আমার স্কুলের মেরামত কাজের জন্য গত ২০১৮-১৯অর্থবছরে দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। বরাদ্দের সেই টাকা চাইতে গেলে কর্মকর্তা বিভিন্ন রকমের কারন দেখান। কর্মকর্তা বলেন, ‘কাজ করে এসে টাকা নিয়ে যান’। কিন্তু এতোগুলো টাকা আমাদের পক্ষে যোগান দিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। এছাড়া স্কুলের মেরামতের কাজ করাও জরুরী।

উপজেলার ভেবড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানান, একই অর্থবছরে স্কুলের মেরামত কাজের জন্য ২লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছিল। অনেক চেষ্টা করার পর সম্প্রতি ওই টাকা পেয়েছি এবং মেরামতের কাজ শুরু করেছি।

এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের স্লিপ, রুটিন ও বিদ্যালয় মেরামতের টাকাসহ বিভিন্ন ফান্ডের ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরের টাকা সুবিধাভোগী বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে না দিয়ে এখন পর্যন্ত শিক্ষা কর্মকর্তা তার কাছে গচ্ছিত রেখেছেন বলেও জানা গেছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল বাসার সামছুজ্জামান বলেন, আমি সরকারের নিয়মমাফিক সকল কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করে আসছি। আমার অফিসে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতির স্থান নেই। তাই যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দকৃত অর্থ এখন পর্যন্ত ছাড় দেয়া হয়নি কেন? সেই বিষয়ে তদন্ত করে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে।

(বিএস/এসপি/অক্টোবর ২৮, ২০২১)