মোহাম্মদ সজীব, ঢাকা : বিশেষ লেজার লাইটের মাধ্যমে গতিরোধ করে সংকেত দিলেই পাওয়া যায় পন্যবাহী গাড়ি থেকে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। সড়কে গাড়ির চাকা ঘুরলেই দিতে হবে টাকা। রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা আনতে দিনভর সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকে আইনশৃংখলা বাহিনী, কিন্তুু, রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা প্রজন্ত গাবতলী থেকে বাবুবাজার পুরো বেড়িবাঁধ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন চালকদের কাছে পুলিশের প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি এখন বড় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। গাবতলী থেকে বাবুবাজার মাত্র ৯ কিলোমিটার সড়কের অন্তত সাতটি স্পটে থানা এবং ফাঁড়ির পুলিশকে চাঁদা দিতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন চালকরা। অবৈধ পলিথিনের মালিক ও চালকদের কাছ থেকে মাসিক চুক্তিতে অর্থ আদায়ের অভিযোগও রয়েছে সড়কের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে একাধিক দিন বেড়িবাঁধ সড়কের একাধিক স্পটে ঘুরে ও গাড়িচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গাবতলী , ঢাকা উদ্দান মোড়, মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, সিকশন ও সোয়ারীঘাট বাগানবাড়ির এলাকার অন্তত সাতটি স্পটে রাত হলেই পণ্যবাহী যানবাহন থেকে টাকা আদায় করে পুলিশ।

দেখা যায়, অধিকাংশ সময় হাজারীবাগ থানার এসআই নায়েব ও তার ফোর্স, হাজারীবাগ পুলিশ ফাড়ির এএসআই মুরাদ চাঁদা আদায় করে থাকেন। প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ভোররাত পর্যন্ত প্রতিটি পণ্যবাহী ট্রাক হতে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। বিশেষ করে দূরপাল্লার পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান পুলিশের চাঁদাবাজির প্রধান টার্গেট।

বেড়িবাঁধ সড়কের এই অংশ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ পণ্যবাহী যানবাহন যাতায়াত করে।

আলম পরিবহনের কাভার্ড ভ্যানের চালক মো. রাসেল বলেন, পণ্যবাহী লোড করা রাতের গাড়ি হলেই নাকি পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়। না দিলে কোনও না কোনও কারণ দেখিয়ে মামলা দেয়া হবে। তাই হয়রানি থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে টাকা দেই।’

এ বিষয়ে হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্কতা মোক্তারুজ্জামানের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করেও তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, রাত ৯ টার পর থেকেই হাজারীবাগ থানার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য ও শিকশন মোড়ে ফাড়ির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের নেম প্লেট খুলে গাড়ি থেকে টাকা আদায় করছেন। দীর্ঘ যানজটের দুর্ভোগ বিশেষ লেজার লাইটের সংকেতের মাধ্যমে পন্য বাহিগাড়ির গতিরোধ করে টাকা আদায় করছেন দায়িত্বে থাকে পুলিশ সদস্যরা।

স্থানীয়দের মতে, পুলিশের চাঁদাবাজির কারনে দীর্ঘ যানযট সৃষ্টি হচ্ছে। প্রকাশেই এমন চাঁদাবাজি প্রতিদিনই হয়ে থাকে বলে জানান । দেখেও কোনো কিছু করার উপায় নেই বললেন অনেকেই। বাগানবাড়ির প্লাস্টিক ও কেমিক্যাল ব্যবসায়ীরা জানান প্রতিবার গাড়ি লোড এবং আনলোড করার সময় চকবাজার থানা ও ফাড়ির পুলিশ সদস্যদের ৩০০ টাকা করে দিতে হয়। রফিক নামে এক কনস্টেবল একটি মালবাহী ঠেলা গাড়ি থেকে নিলেন ১০০টাকা জানতে চাইলে চড়াও হয়ে তেরে আসেন বলেন কিশের টাকা কোনো টাকা নেই নি। বলে গাড়ি নিয়ে চলে জান এবং বলেন যা খুশি করেন।

(এস/এসপি/অক্টোবর ২৮, ২০২১)