কাজী হাসান ফিরোজ, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের বোয়ালমারীর পৌর সদরে অবস্থিত কাজী সিরাজুল মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের নিকট ইউনিক আইডির ফরম দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার (২৭/১০/২০২১) ওই কলেজের একাদশ শ্রেনীর হাজেরা খাতুন ও সাবিনা নামের দুই কলেজ শিক্ষার্থী বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজ শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়। এছাড়া সরকারি সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এসাইনমেন্ট গ্রহনের সময়ও অর্থ আদায় করে কলেজটি। গত সপ্তাহে ইউনিক আইডি ফর্ম বাবদ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিকট থেকে একশত টাকা করে আদায় করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কোন শিক্ষার্থী যাতে ফরমটি ফটোকপি করতে না পারে সেজন্য ফরমে কলেজের সিল মেরে দেওয়া হয়।

অভিযোগকারী কলেজ শিক্ষার্থী হাজেরা খাতুন জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ এসাইনমেন্ট জমা নেয়ার সময় আমার কাছ থেকে পাঁচশত টাকা নিয়েছে। আবার ইউনিক আইডি ফরম দেয়ার সময় একশত টাকা নিয়েছে। বিষয়টি ইউএনও স্যারকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। এ সংবাদ পেয়ে অধ্যক্ষ স্যার আমাকে একশত টাকা ফেরত দিয়েছে। এসাইনমেন্টের টাকা ফেরত দেননি।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রহিম বলেন, গত ২৮ ও ২৯ আগস্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসের হলরুমে দুইদিন ব্যাপী ইউনিক আইডি ফরমপূরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণের শেষ দিন অংশগ্রহণকারী উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে ইউনিক আইডি ফরম সংক্রান্ত কোনো অর্থ শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে আদায় করা যাবে না। ইউনিক আইডি বাবদ অর্থ আদায়ের ব্যাপারে কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের দুই শিক্ষার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ইউএনও স্যার ওই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে।

ইউনিক আইডি ফরম বিতরণে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে শিক্ষার্থী প্রতি একশত টাকা নেয়ার ব্যাপারে মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের যখন ইউনিক আইডি ফরম দেয়া হয়, তখন আমরা কিছু শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে একশত টাকা করে নিয়েছিলাম। শিক্ষার্থীপ্রতি একশত টাকা নেয়ার কোনো নির্দেশনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা ছিল না। নির্দেশনা পাওয়ার পর টাকা ফেরত দিয়েছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজাউল করিম বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(কেএফ/এসপি/অক্টোবর ২৮, ২০২১)