তারেক হাবিব, হবিগঞ্জ : জাতির সূর্য্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধার নামে বিশেষ ডিজাইনের স্যান্ডেল জুতা ব্যবহার করে আবারও সমালোচনায় এসেছে হবিগঞ্জ শহরের রাজনগর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়গানেস্টিক সেন্টার।

গতকাল সোমবার সরেজমিনে হাসপাতালে ঘুরে দেখা যায়, টয়লেটে ও হাসপাতালের অভ্যান্তরীন কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন জায়গায় ‘মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী জেনারেল হাসপাতাল’ সম্বলিত স্যান্ডেল ব্যবহার করা হচ্ছে।

এদিকে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে সামলোচনায় ঝড় শুরু হয়। পরে মোজাহিদ নামে এক ব্যক্তি ছবিটি তার ব্যবহৃত ফেসবুক ওয়াল থেকে শেয়ার করে দুঃখ প্রকাশ করেন। এর পরই এ নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়।

মোঃ আলমগীর হোসেন নামে অন্য আরেক ব্যক্তি তার পোস্টের নিচে মন্তব্য করে লেখেন, এর মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে, এটা ঠিক না।

মোঃ শরীফ উদ্দিন নামে আরেক ব্যক্তি লেখেন, ‘কর্মচারীদের আন্ডার ওয়ার চেক করলেও মনে হয় এই লেখা পাওয়া যেতে পারে’। এর আগে, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করে জরিমানা এবং ভূয়া ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা প্রদানে সমালোচনায় আসে মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়গানেস্টিক সেন্টার।

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকেবলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব’।

১১নং সেক্টরের কোম্পানী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত উল্লার পুত্র নুরুজ্জামান জানান, বিষয়টি খুবই দূর্ভাগ্যজনক। বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্ত করে একটা প্রতিকার নেয়া উচিত। এটা সমগ্র মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করাসহ রীতিমত ইতিহাস বিকৃতি বা মুক্তিযোদ্ধাকে কটাক্ষ করার শামীল।

এদিকে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি বা মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটাক্ষ করার শাস্তি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রেখে সম্প্রতি আইন প্রণয়ন করেছে আইন কমিশন।

(টিএইচ/এসপি/নভেম্বর ০২, ২০২১)