ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : ১১ নভেম্বর ২০২১ ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে নীলফামারী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিক বরাদ্দের পর থেকে প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রচার প্রচারণার বিধি থাকলেও চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে কেউ তা মানছেন না।

দুপুর ১২টা থেকেই অধিকাংশ প্রার্থী তার প্রতিক নিয়ে প্রচারণায় নামছেন এবং রাত ৮টার পরেও মাইক ব্যবহার করে তাদের নিজ নিজ প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল শুক্রবার (৫নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, নীলফামারীর লক্ষীচাপ, পলাশবাড়ী, রামনগর, পঞ্চপুকুর ও চওড়া বাজারে একযোগে কমপক্ষে ৭/৮টি মাইক নিয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।মানছেন না কোন নিয়ম-নীতি।এছাড়াও পথসভার নামে গভীর রাত পর্যন্ত বাজাচ্ছেন উচ্চস্বরে মাইক ও সাউন্ডসিস্টেম।

এতে মাইকের বিকট শব্দে এক অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে। আগামী ১৪ নভেম্বর এসএসসি পরীক্ষা থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনায় ভীষণ বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়াও বয়ষ্ক ও অসুস্থজনেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এমনকি অনেক প্রার্থী রাত ১১টা পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে ব্যবসায়ী ও এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে বলে একাধিক সুত্রে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া অধিকাংশ প্রার্থীর সমর্থনে মিছিল ও মোটরসাইকেল মহড়ার হিড়িক লক্ষ করা যায়। চেয়ারম্যান, সদস্য প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করে দেয়ালে ও গাছে পোষ্টার লাগানোর অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে, সরকার দলীয় প্রার্থীর নৌকা প্রতীক এবং মেম্বার প্রার্থীদের পোষ্টার বিভিন্ন দেয়াল ও গাছে টাঙানো রয়েছে।
এসব ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যা নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত। অথচ নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোন পদক্ষেপ নেই বলে একাধিক ব্যক্তি জানান। মোটরসাইকেল মহড়ার বিকট শব্দে ছোট শিশুরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে বলে এলাকার জনসাধারণ অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ আচরণ বিধি মোতাবেক কোন প্রার্থী মটরসাইকেল র্যালি দিতে পারে না। আইন অমান্য করে প্রচার প্রচারণা চালালে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু আচরণবিধি লংঘনের এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। তিনি বলেন, কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ওকে/এসপি/নভেম্বর ০৬, ২০২১)