ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাইব্রিড ঠেকাতে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ১০ নং হরিণচড়া ইউনিয়নের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী চারজন প্রার্থী ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। তাঁরা হলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মোঃ তৈয়বর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক দিলীপ কুমার মুখোপাধ্যায়, ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকারুল ইসলাম দুখু এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য আরিফুর রহমান মিলন।

এই চার প্রার্থী দীর্ঘদিন ধরে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ইউনিয়নে গণসংযোগ করে আসছিলেন। কিন্তু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ময়নুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড প্রার্থীর পক্ষ নিয়েছেন। ইউনিয়ন কমিটির ৬৫ সদস্যের কিছু সদস্যকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বাড়িতে ডেকে সমর্থন আদায়ের জন্য বিভিন্ন উপঢৌকন ও প্রলোভন দেখিয়ে অনুপ্রবেশকারীর পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন।

এমন একটি অবস্থায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। সুযোগসন্ধানী এবং আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ডকে যারা আজ ব্যবসার হাতিয়ার বানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে হরিণচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা।

গতকাল রবিবার রাতে এই চার প্রার্থী একত্রিত হয়ে এই মর্মে ঐক্যমত্যে পৌঁছেছেন যে তাঁদের মধ্যে যেই নৌকা পাক, তাঁকে বিজয়ী করার জন্য চারজন একসাথে কাজ করবেন। কোন অবস্থাতেই হাইব্রিড বা সদ্য অনুপ্রবেশকারী কেউ টাকার জোড়ে যেন নৌকা না পায়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক পক্ষপাতমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন হরিণচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের এই চার ত্যাগী নেতা সহ অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ এবং ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও সাধারণ মানুষ ।

হরিণচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মোঃ তৈয়বর রহমান বলেন, আমাদের মধ্যে যেই নৌকার মনোনয়ন পাক, আমরা সবাই একজোট হয়ে কাজ করব। কিন্তু কোন অবস্থাতেই কোন সুযোগসন্ধ্যানীকে নৌকা নিতে দেবো না।

সাংগঠনিক সম্পাদক দিলীপ কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, টাকার জোড়ে কেউ নৌকার মনোনয়ন নিতে পারে, এটা বিশ্বাস করতেও মন চায় না। এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে আমরা চারজন নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।

ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকারুল ইসলাম দুখু বলেন, সুযোগসন্ধ্যানীদের নৌকার মনোনয়ন দিতে আওয়ামী লীগের ভেতরেই একটা অংশ তৎপর হয়ে উঠেছে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আরিফুর রহমান মিলন বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা কখনো দলের দু:সময়ে থাকে না, তারা সুযোগ বুঝে দলে ঢুকে ফায়দা হাসিল করে আবার সরে পড়ে।

(ওকে/এসপি/নভেম্বর ০৮, ২০২১)