রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে নেতৃবৃন্দের কাছে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া জানিয়ে সাতক্ষীরায় জলবায়ু পদযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট মোড় থেকে জলবায়ু পদযাত্রা শেষে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের মুক্তমঞ্চে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষাবিদ ও নাগরিক ব্যক্তিত্ব আবদুল হামিদ, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক আনিসুর রহিম, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ জাসদ, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, ভূমিহীন নেতা ও জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আলী নুর খান বাবুল, উদীচীর জেলা কমিটির সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, ক্রিস্টেন্টের নির্বাহী পরিচালক আবু জাফর সিদ্দিকী, উন্নয়নকর্মী ফারুক রহমান, ক্লাইমেট এক্টিভিস্ট এস এম শাহিন বিল্লাহ, ব্যবসায়ি মিজানুর রহমান, সাংস্কৃতিককর্মী একোব্বার হোসেন, শিক্ষার্থী শিখা প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সমন্বয় করেন মানবাধিকারকর্মী ও স্বদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত।

স্বদেশ, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরবিশে র্কমজোট ও ক্লিন যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ৩১ অক্টোবর শুরু হয়ে আগামী ১২ নভেম্বর র্পযন্ত স্কটল্যান্ডের রাজধানী গ্লাসগোতে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণসহ চারটি মূল দাবি তুলে ধরেছেন।
বক্তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরবর্তনের ফলে সারা পৃথিবী জুড়ে দূর্যোগের সংখ্যা ও ভয়াবহতা বেড়ে যাচ্ছে। দূর্যোগে আক্রান্ত শীর্ষ ৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। জলবায়ুর বিরুপ প্রভাবের ফলে দেশের উপকূলীয় ও উত্তরাঞ্চলে লবনাক্ততা, খরা, বন্যা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, নদী ভাঙন, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে জীবীকা হারিয়ে প্রতিবছর পাঁচ লাখের বেশি মানুষ জলবায়ু উদ্বাস্ত্ততে পরিণত হচ্ছে।

বক্তারা বলেন, তাপমাত্র বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালে প্যারিসে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গ্লাসগো সম্মেলনে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নি:সরণ শুণ্যে নামিয়ে আনার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া ও চীনের মত বেশি কার্বন নিঃরণকারি দেশগুলো। ফলে মানবজাতি রক্ষায় অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘ।

স্বদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত বলেন, বাতাসে কার্বন নি:সেরণের ৭২ শতাংশই আসে জ্বালানি খাত থেকে।তিনি কার্বন নির্গমন বন্ধের জন্য কয়লা, গ্যাস ও জ্বালানি খাতে উন্নত দেশগুলোর বিনিয়োগ বন্ধ করার আহবান জানান। পাশাপাশি জলবায়ু বিপদাপন্নদের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার আহবান জানান।

প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি বিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

(আরকে/এসপি/নভেম্বর ০৮, ২০২১)