স্টাফ রির্পোটার, ঢাকা : বাংলাদেশের পোশাক কারখানার নিরাপত্তা ও শ্রমিক অধিকার রক্ষার পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নয় বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি উইলিয়াম হানা রবিবার এ বিষয়ে সংস্থার অবস্থান তুলে ধরেন। সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হানা বলেন, না, সন্তুষ্ট না। আমি সন্তুষ্ট নই, কেন আমরা সন্তুষ্ট হবো।

তিনি বলেন, আরো অনেক কিছু করতে হবে। রানাপ্লাজা ধসের পর কিছুটা উন্নতি হলেও তা পর্যাপ্ত নয় মন্তব্য করে হানা বলেন, পরিবর্তন হচ্ছে। এটা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, রানা প্লাজা ধসের এক বছরের মাথায় এ খাতে কী কী অগ্রগতি হয়েছে সেগুলো তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় ও গণমাধ্যমের মুখোমুখি হতে হবে। কারখানা ভবন পরিদর্শন, শ্রম আইন সংস্কার ও শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবর্তন হচ্ছে, তবে ধীরে ধীরে। পোশাক খাতে কিছু সমস্যা রয়েছে যেগুলোর প্রতি নজর দিতে হবে বলে মনে করেন উইলিয়াম হানা। তিনি বলেন, শুধু নিরাপদ ভবন হলেই চলবে না। কারখানার ভিতরেও সব কিছু যথাযথ হতে হবে। তা নিরাপদ হতে হবে, কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং মেঝেতে দাহ্য কোনো কিছু ফেলে রাখা যাবে না। ন্যূনতম বেতন বাড়ানো হলেও সব কারখানায় এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি। কোনো কোনো কারখানা মালিক শ্রমিক ইউনিয়নও মেনে নিচ্ছেন না উল্লেখ করে হানা বলেন, মালিকদের এটা মানতে হবে। এজন্য আচরণে পরিবর্তন আনতে হবে। মালিকদের মেনে নিতে হবে এবং শ্রমিক ইউনিয়ন করতে দিতে হবে। আর এর জন্য মানসিকতার বড় পরিবর্তন দরকার। পোশাক খাতের একটি ‘আশাব্যঞ্জক’ চিত্র তুলে ধরতে আগামী কয়েক সপ্তাহ মালিকদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের দুইজন সদস্য আগামী সপ্তাহে ঢাকা আসছেন। তারাও পোশাক খাতে অগ্রগতির বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। হানা বলেন, প্রথম প্রশ্নই আসবে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে কি না সে বিষয়টি তার কাছে স্পষ্ট নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে পোশাক কর্মীদের নিয়ে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কেয়ার বাংলাদেশ।

(ওএস/এএস/মার্চ ০৯, ২০১৪)