নওগাঁ প্রতিনিধি : দ্বিতীয় পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নওগাঁ জেলার ২ উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। এদিন সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা কেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নারী ভোটারদের স্বঃতস্ফুর্ত উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। এদিন বিকেল ৪টার মধ্যে যে সব ভোটার এনক্লোজারের ভিতর প্রবেশ করেন, কোন কোন কেন্দ্রে সন্ধ্যা পর্যন্ত  তাদের ভোট গ্রহন চলে।

নওগাঁর সদর উপজেলার ১২ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) এবং রানীনগর উপজেলার ৮ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল স্বঃতস্ফুর্ত। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নারী ভোটার এবং বিকেলে পুরুষ ভোটাররা দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। কোনো কেন্দ্রেই সহিংসতার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো বা কোনো প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র বের করে দেয়ার মত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ সদর উপজেলার ১২টি এবং রানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে। ইউপি নির্বাচনে সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়ন এবং রানীনগর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হয়। বাঁকী ১৮টি ইউনিয়নে যথারীতি ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহন সম্পন্ন হয়।

দুই উপজেলায় ১৮৫টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৩৩টি কক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ারম্যান পদে ১১৩ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ২৪০ জন এবং সাধারন সদস্য পদে ৬৮৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ভোটার ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭১৬ জন। এর মধ্যে নওগাঁ সদরে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজার ৯৮২ জন এবং রানীনগরে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫১ হাজার ৭৩৪ জন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ এবং শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনী এলাকায় ১০ জন ম্যাজিষ্ট্রেট এবং দুইজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্বরত ছিলেন। এ ছাড়াও সাদা পোষাকে পুলিশ এবং বিজিবি সদস্যরা সার্বক্ষনিক টহলরত ছিলেন। এখন পর্যন্ত কোথায় কোন ধরনের সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।

(বিএম/এএস/নভেম্বর ১১, ২০২১)