কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় ঢাকাগামী নৈশকোচের চাপায় অটোরিকশার চালক ও একই পরিবারের তিন যাত্রীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) রাত ৭টার দিকে ভুরুঙ্গামারী-কুড়িগ্রাম সড়কের নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের আলেপের তেপথি এলাকায় জুলেখা পাম্পের কাছে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন- অটোচালক আব্দুল জলিল (৫৫), শহিদুল আলম (২৭), সুমাইয়া খাতুন (৪) ও সুফিয়া খাতুন। অটোরিকশা চালক বাদে তিনজন রায়গঞ্জ ইউনিয়নের বড়বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভুরুঙ্গামারী থেকে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসা নৈশকোচ রায়গঞ্জের আলেপের তেপথি জুলেখো পাম্পের কাছে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান অটোরিকশা চালক আব্দুল জলিল ও যাত্রী শিশু সুমাইয়া।

গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটির বাবা শহিদুল ইসলাম, মা শাহানাজ বেগম ও দাদী সুফিয়া খাতুনকে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেয়। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু সুমাইয়া খাতুনের বাবা শহিদুল ইসলাম ও দাদি সুফিয়া খাতুনের মৃত্যু হয়।

নৈশকোচ রিজভী পরিবহনের চালক মকবুল হোসেন জানান, রাস্তার নির্মাণ কাজ চলছে। তাই অর্ধেক রাস্তা খোঁড়া ছিল। অপ্রশস্ত স্থান ধরে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যাত্রীসহ বাসের পেছনের চাকার নিচে পড়ে যায়।

নাগেশ্বরী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবিউল হাসান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনায় মোট চারজন মারা গেছেন। এর মধ্যে অটোরিকশা চালক ও একই পরিবারের তিনজন রয়েছে। আহত একজন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আটক করা হয়েছে চালকসহ বাসটি।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ১২, ২০২১)