কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, জিয়াউর রহমান কেমন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন জানি না। তবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সব স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি আর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসিত করেছেন। ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে বলে নতুন প্রজন্মের সামনে ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল তুলে ধরার প্রয়োজন রয়েছে।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে কুড়িগ্রামে উত্তরবঙ্গ যাদুঘরে জেলা প্রশাসন প্রণিত বীরগাঁথা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মারক উন্মোচনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রেলমন্ত্রী আরও বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযদ্ধের পক্ষের সরকার। এখানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখতে যাদুঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। আর এতে সহযোগিতা করছে সরকার।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের এই স্মারক উন্মোচনের মাধ্যমে কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণের চমৎকার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে করে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে। আমরা এজন্য উত্তরবঙ্গ যাদুঘরকে সাধুবাদ জানাই।

মন্ত্রী তার বক্তব্যে নির্মাণাধীন উত্তরবঙ্গ যাদুঘরের জমি ও অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, মহাপরিচালক ডিএন মজুমদার, মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ্, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল হাসান, বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ্ সুফি নুর মোহাম্মদ, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম টুকু, বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকার, উত্তরবঙ্গ যাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ ও কুড়িগ্রাম জেলা কৃষকলীগ চিলমারী-রৌমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ, চিলমারী থেকে সন্ধ্যাকালীন আন্তঃনগর ট্রেন চালু, রৌমারী-জামালপুর রেলপথ নির্মাণ, কুড়িগ্রাম-সোনাহাট রেলপথ সম্প্রসারণ, রেলপথকে মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজে উন্নিতকরণসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে স্মারকলিপি রেলমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ১৩, ২০২১)