ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নে ভোট পুনঃগণনার দাবী করেছেন পরাজিত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যাম চরণ রায়। শনিবার দুপুরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন তার কর্মী সমর্থকরা। এতে অংশ নেন নৌকা প্রতিক বঞ্চিত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করা শ্যামচরণ রায়।

ইউনিয়নের বেলতলি বাজারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন মমিনুর রহমান, লেমন রহমান প্রমুখ।
এতে অভিযোগ করা হয় কৌশলে আমিনুর রহমান ভোটকেন্দ্রে প্রভাব সৃষ্টি করে ভোটগণনার সময় কয়েকটি কেন্দ্র থেকে মটরসাইকেল প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেন। এর আগে এজেন্টদের হুমকী প্রদান করেন বিভিন্ন ভাবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামচরণ রায় অভিযোগ করে বলেন, বিকেলে ভোটগণনার সময় বিদ্যুৎ ছিলো না এ সময় আট নম্বর কেন্দ্র থেকে এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়। ফলাফল সিটেও পরিবর্তন করা হয়। ইউনিয়নের ১, ৪, ৫, ৬ ও ৮নং কেন্দ্রের ভোট নিয়ে আপত্তি রয়েছে। পুনঃগণনার জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছি। আমরা আইনগত ভাবে এগুবো।

শ্যামচরণ রায়ের কর্মী লেমন রহমান বলেন, ভোট চুরি করে জিতেছেন আনারস প্রতিকে আমিনুর রহমান। জিতেও তিনি নানাভাবে হুমকী দিচ্ছেন। ইউনিয়নে হিন্দু মুসলিম ভাগ করে ফেলেছেন তিনি। আমরা তাকে মানি না।
তবে অভিযোগ নিয়ে জানতে নির্বাচিত চেয়ারম্যান আমিনুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ভোটগণনা নিয়ে সংক্ষুদ্ধ প্রার্থীর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের কোন করার নেই।

প্রত্যেক জেলায় একটি করে ট্রাইব্যুনাল রয়েছে ভোটগ্রহণের ৩০দিনের মধ্যে মামলা করার সুযোগ রয়েছে এতে।
প্রসঙ্গত গত ১১নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আনারস প্রতিকে ৬০৫৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আমিনুর রহমান। তার নিকটতম ছিলেন শ্যামচরণ রায়। মোটরসাইকেল প্রতি তিনি পান ৫৯৫২ ভোট আর নৌকা প্রতিকে গোলাম মোস্তফা পান ৮৮১ ভোট।

(ওকে/এসপি/নভেম্বর ১৩, ২০২১)