রণেশ মৈত্র


বিগত ১৩ নভেম্বর ঘটনার উৎপত্তি হলো। দুর্গা মূর্তি (যদিও মাটির এবং প্রাণহীন চেতনাহীন) পদ প্রান্তে রেখে আসা হলো এক খ- পবিত্র কোরান-যার নাকি পাতায় পাতায় আঙ্গুলের ছাপ। এটা পুলিশের কথা। কার কার ছাপ কতদিনের ছাপ তা আধুনিক প্রযুক্তি খুঁজে বের করতে পারে কিনা যা করতে উদ্যোগী হবে না-সে আলোচনা দীর্ঘ হতে পারে কিন্তু সম্ভবত তা ফলহীন। তাই কোন জটিল কথায় না গিয়ে সহজ ভাষায় সহজ অভিজ্ঞতার প্রকৃত বিবরণ তুলে ধরছি।

কুমিল্লার ঘটনার পর একটি মাস চলে গেল। ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে, সরকারি মতে ২২টি জেলায় তা ছড়িয়ে পড়লো, পাবনার বেড়াতেও (যা স্থানীয় সাংবাদিকেরা সম্ভবত: সাহস না পাওয়ায় কোন পত্রিকায় প্রকশিত হয় নি দাপটের এম পির ভয়ে হতে পারে) এর সবগুলি ঘটনায় প্রকৃত অপরাধী ও প্রকৃত উস্কানীদাতাদের নাম উল্লেখ করে এজাহার সংশ্লিষ্ট থানায় দায়ের হয়েছে কি না-তা এখনও জানা যাচ্ছে না। তবে যে লোকটি কুমিল্লার মন্দিরে কোরান রেখে এসেছিল তাকে কক্সবাজার থেকে ধরা হয়েছে। সি.সি. ক্যামেরায় তাকে দেখা যাওয়ায়।

ইকবাল নামক ঐ লোকটিও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা কয়েকজন ভুগছে। ধরা পড়ায় নাকি মস্তিস্ক বিকৃতিতে ভুগছে। যদি তা সত্য হয় তবে সে কক্সবাজার গিয়ে পালিয়ে থাকলো কেন? মস্তিষ্ক বিকৃতি সংক্রান্ত প্রচার উদ্দেশ্যমূলক কিনা তা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে পরীক্ষা করানো না হলে সন্দেহ থেকেই যাবে।

যে সকল এজাহার দায়ের হয়েছে তার সংখ্যা কত, আসামীর সংখ্যা কত তা মাঝে মধ্যে পত্রিকাগুলিতে প্রকাশিত হলে ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি থেকে যায় কোন কোন ধারায় সেগুলি দাখিল হলো। কারণ ঐ ধারায় উপর নির্ভর করে তারা জামিনে মুক্তি পাবে কি না বা তাদের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সাজার মেয়াদ কত। এগুলি বাংলাদেশ পেনাল কোডে সুস্পষ্টভাবে লিখিত আছে।

আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এজাহারে সাক্ষী হিসেবে কাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা জনিত ঘটনায় যারা ঘটনা সরাসরি ঘটায়-তাদের আসামী তলিকাভূক্ত করা হয়। অন্তত: হওয়ার কথা। কিন্তু ভবিষ্যত নিরাপত্তার আশংকায় অনেকেই অনেক নাম উল্লেখ করতে সাহস পান না-ফলে তাদের নামে চার্জশীটও হয় না। আবার যেহেতু সাধরণ মানুষেরা এজাহার লিখতে জানেন না-তাই তাঁরা কিছু আসামীর নাম লিখে এবং প্রায় তিন হাজার জাতীয় কথাগুলি লিখে দেন। ফলে পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্যের সুবিধা হয়। আবার যে সকল আসামীর বিরুদ্ধে পুলিশ চার্জশীট দেয়-সেই আসামীরা বা তারা জেলে থাকলে তাদের লোকজনেরা বাদীদেরকে মামলা তুলে নিতে এবং না তুললে এমন কি জীবননাশের এতদিন আগে ঘটনা ঘটলেও হালের কোন কোন জায়গার খোঁজ খবর নিয়ে যা জান নাম তা হলোঃ

এক.পীরগঞ্জের মাঝিপাড়ায় জেলে পল্লী থেকে সোডাপীর বাজারের দূরত্ব প্রায় এক মাইল। সেই বাজারেই মুদি দোকানী হারুনর রশিদ। জেলে পাড়ায় যে দিন সাম্প্রদায়িক হামলা হলো সেদিন প্রায় সারা দিনই হারুন তার দোকানেই ছিলেন। রাত এগারটা পর্য্যন্ত দোকান করে তিনি বাড়ী ফেরেন। তার আগে রাত পৌনে এগারটায় দেখা হয়েছে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের। পরের দিন সেই হারুনকে জায়গীর পাড়া গ্রামের তার বাড়ীর থেকে গ্রেফতার করে সাম্প্রদায়িক হামলার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে।

গ্রামের মানুষ এবং ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান চৌধুরী দুলাল বলেছেন, হারুন এ তাণ্ডবে অংশ নেয় নি। সাইদুর জানান, তার ইউনিয়ন থেকে ১১ জনকে গ্রেফতর করেছে পুলিশ এদের মধ্যে ৭জন নিরপরাধ তারা ঘটনার সঙ্গে কোনভাবেই জড়িত চিল না।

বটের হাট বাজারে হোটেল শ্রমিক হারুন ও রহিম। এরা দুই ভাই। হামলার ঘটনার সময় তারা দুজন চা ও সিঙ্গারা তৈরীর কাজ করছিল বলে জানালেন হোটেলটির মালিক সাহাবুল। দুই ভাইকেই ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ।

তাণ্ডবের ঘটনা ঘটেছে মাঝিপাড়ায় আর আমার দোকান হলো বটের হাট এলাকায়। তারা (হারুন ও রহিম) হোটেল থেকে বেরই হয় নি। ফলে তা-বের ঘটনায় তাদের অংশ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

আর এর পর থেকে গ্রেফতার আতংক ৭টি গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ দশ দিন ধরে এসব গ্রামে থাকছেন না শেষ পুরুষ। শুধুমাত্র নারী ও শিশুরা বাড়ীতে গভীরতর আতংক নিয়ে অবস্থান করছে।

শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আঙ্গুরী খাতুন জানালেন, প্রতিরাতে গ্রামে লোকজন আসে। এরা পুলিশ না অন্য কেউ তা বুঝার উপায় নেই।

তবে পুলিশ বলছে, যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না তাদের বাড়ীতে থাকতে সমস্যা নেই। নিরপরাধ কাউকে ধরা হবে না। অপরদিকে গ্রামবাসীর অভিযোগ তান্ডবের ঘটনায় এ পর্য্যন্ত যে ৭১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বেশীর ভাগই নিরীহ।

বিচার বিভাগীয় তদন্ত

অপরদিকে ছয় জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ীঘরে হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিচারক হাকিমকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এসব হামলার ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনিক ব্যর্থতাকে কোন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং এসব ঘটনার তদন্ত করতে কেন সিএমএম আদালত ও সিজেএম আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুশ জারী করেছে হাইকোর্ট।

রংপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ফেনী, চাঁদুপুর ও নোয়াখালির চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটকে আগামী দুই মাসের মধ্যে তদন্ত বিপোর্ট দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। বিভিন্ন সময়, দেশবাসী জানেন, বহু সংখ্যক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও তার একটিরও আজতক বিচার হয় নি। ফলে অপরাধীরা আজ বেপরোয়া। অভিযোগ আছে, ধৃত আসমীদের রিম্যা-ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নামে বেনামে। নির্য্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী আদায়ের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।

কুমিল্লা

কুমিল্লার পরবর্তী খবরে জানা যায়, কুমিল্লা নগরীর নানুয়াদীঘির পাড়ে পূজাম-পে কোরান শরীফ রেখে ধর্মীয় উস্কানী এবং পরবর্তী সহিংস ঘটনায় নেপথ্যের ইন্ধনদাতা ও জড়িতদের খোঁজ মাঠে কাজ করছে সি আই ডি। রিমাণ্ডে থাকা আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবং গোয়েন্দ তথ্যের ভিত্তিতে নেপথ্যের ইন্ধন দাতাদের নিয়ে চলছে যাচাই বাছাই। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সহসাই তাদের গ্রেতার করা হবে বলে তদন্তকারী সংস্থার দায়িত্বশীল একটি সূত্রে ২৯ অক্টোবর জানা গেছে।

এদিকে পূজামণ্ডপে কোরান রাখার ঘটনায় করা মামলার আসামী ইকবাল হোসেনসহ চারজনকে ফের ৫ দিনের রিমা-ে নিয়েছে তদন্তকারীসংস্থা সি আই ডি।

জানা গেছে,নানুয়ার দীঘির উত্তরপাড়ে পূজাম-পে কোরান শরীফ রেখে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত অবমাননার ঘটনায় সাতটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ৬২ জনের নামইল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৬৫০ জনকে আসামী করাহয়। এর মধ্যে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মামলায় ইকবাল সহ ৪ জনকে গ্রেতার দেখানো হয়। অন্য আসামীরা হচ্ছে ৯৯৯ এ পুলিশকে ফোন করে খবর দেওয়া ইকরাম এবং দারোগাবাড়ী মাজারের খাদেম হুমায়ুন কবীর ও ফয়সাল আহমেদ।

এগুলিও বেশ কয়েকদিন আগের খবর। এর পরে অপরাপর স্থানে সংঘটিত ভয়ংকর ঘটনাবলীর তথ্য প্রাথমিকভাবে অতীতে প্রকাশিত হলেও পরবর্তীকালেতার বিস্তারিত কাহিনী, ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রত্যক্ষদর্শীদের এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ বা তদন্ত কর্মকর্তাদের বক্তব্য বেশ চেষ্টা করে ও জানতে পারি নি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন জামাল ৫-৬ দিন আগে একটা মস্ত সুখবর দিলেন। তিনি বলে উঠলেন সম্প্রতি সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংস ঘটনাবলীর নেপথ্য নায়ক, মূল হোতা ও কুশীলবদের তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। এমন সুখবর আমাদের দেশে বড্ড বেশী দুষ্প্রাপ্য। তাই স্বাভাবত:ই অনেকটা আশাবাদীহওয়ার বিরল সুযোগ পাওয়া গেল। মনে হলো, শীঘ্রই তিনি তাদের নামের তালিকা, রাজনৈতিক ও পেশাগত পরিচয়, তাদের অতীত কার্য্যক্রম প্রকাশ করে তা জন সম্মুখে তুলে ধলবেন। সে আশা আজও পূরণ হয় নি।

আবারও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

যতই বলি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা অর্থাৎ মন্দির, প্রতিমা ভাঙ্গা, তাতে অগ্নি সংযোগ, লুটপাট, নারী অপহরণ,ধর্ষণ, ব্যবসা-বাড়ী-জমিজমা জবর দখল-এ সবই ক্রিমিন্যাল অপরাধ তাই এতগুলি একমাত্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন তাঁর হাতে আছে বিশাল পুলিশ বাহিনী, আনসার বাহিনী, বিজিবি, সেনাবাহিনীরমত শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী। এছাড়াও রয়েছে-গোপনে অগ্রিম তথ্যসংগ্রহ করে তাঁকে জানানো-কোথায় কি ঘটছে, ঘটতে চলেছে বাঘটেছে। তাই সকল দিক থেকে এ ব্যাপারে তিনি সর্বাধিক সমৃদ্ধ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরে আছেন শুধুমাত্র একজন। তিনি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বেশ কয়েকদিন আগে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে বলেছিরেন, সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলির ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়াহবেনা-তাসে সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক।

অত:পর কয়েকদিন ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ৩০ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন,সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সাথে যুক্ত সবাই চিহ্নিত। কিন্তু জানা গেল না এই চিহ্নিত ব্যক্তিরা কারা এবং তাদের মধ্যে কতজনকে কোন কোন ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এগুলি প্রামাণিক কারণ এইসব প্রক্রিয়ার পর তদন্ত, তদন্ত শেষে চার্জশীট এবং চার্জশীট শেষে বিচার। বিচার আবার নির্ভরশীল চার্জশীট, সরকারি-বেসরকারি এবং প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের আদালতে হাজির হয়ে নির্ভয়ে সাক্ষ্যদান। তালিকাভূক্ত সাক্ষীদের এবং সাক্ষ প্রদানের পর তাদের এবং পরিবার পরিজনের ও বাদীর নিরাপত্তার দিকটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নইলে উপযুক্ত ধারায় এজাহার যা হলে সহজেই আসামীরা জামিন পাবেন চার্জ শীটের অভিযোগ দুর্বল হলেও এবং তা মৌলিক ও দালিলিকভাবে প্রমাণিত সন্দেহাতীতভাবে না হলে বিচারক সংশ্লিষ্ট অরাধীদের মুক্তি দেবেন প্রমাণিত হলে আইনানুয়ায়ী শাস্তি দেবেন। এই প্রক্রিয়ার পেছনে সর্বাধিক বড় ভূমিকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়েও ও পাবলিক প্রসিকিউটারের। তিনি আবার আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন। এইসব ঠিক থাকলেও বিচার প্রক্রিয়া বেশ সময় সাপেক্ষ। ইতোমধ্যে বছল শেষ হয়ে এলো। নভেম্বরের শেষ দিকের মধ্যে যদি সকল প্রক্রিয়া শেষ হয়ও-বিচার ২০২১ এ শুরু হতে স্বাভাবিকভাবেই পারবে না। গড়াবে ২০২২ পর্যন্ত।

বিচার বিভাগীয় তদন্ত

ইতোমধ্যে একটি রীট দায়ের হয় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা দূরীকরণের ও উপযুক্ত তদন্তের নির্দেশ দানের দাবীতে মহামান্য হাইকোর্টে। শুনানী অন্তোই কোর্ট সংশ্লিষ্ট মোকর্দমাগুলির চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটদের ঘটনাবলীর তদন্ত করে দুই মাসের মধ্যে উচ্চ আদালতে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এতেও ডিসেম্বরের আগে,যদি কোন ম্যাজিষ্ট্রেট তদন্তকাজ সম্পন্ন করার জন্য অধিকতর সময়ের প্রার্থনা করেন তবে সাধারণত তা গৃহীত হয় এবং এমন হলে কতদিনে বিচার কার্য্যরে অপরাপর প্রক্রিয়া শুরু ও শেষ হবে তা কেউ বলতে পারেন না। তবে সব কিছুর পরও এবার বিচার হবে এমনটাই প্রত্যাশিত।

সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ

বহুকাল পর এই প্রথম নতুন প্রজন্মের উদ্যোগে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে এবং সম্প্রীতি পুনরুদ্ধার ও বজায় রাখার লক্ষ্যে বেশ কিছুকাল যে আন্দোলন শুরু করেছেন-ধারাবাহিকভাবে সেই আন্দোলন বজায় থাকলে দেশটা বদলে আবার মুক্তিযুদ্ধের দেশে পরিণত হবে আমি এ ব্যাপারে আশাবাদী তবে জনগণের ব্যাপকতম ঐক্য এ ব্যপারে থাকতে হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অত্যন্ত বেশুরো হলেও হঠাৎ করে নিজ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নাহওয়া সত্বেও সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলে ফেলেছেন, কোন সাম্প্রদায়িক হামলা বা কোন নারী ধর্ষণ বা লুটপাট বা অগ্নিসংযাগ হয় নি। এগুলি সব বিএনপির মিথ্যা প্রচারণা দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে। আকাশে আবারও বালো মেঘ জমছে না তো?

লেখক : সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ, সাংবাদিকতায় একুশে পদক প্রাপ্ত।