মাগুরা প্রতিনিধি : বাংলা সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করতে বর্তমানে  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন মাগুরার মেয়ে  মাহমুদা ইয়াসমিন কনা। সে বিইউপির (বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী।

কনার মা শামসুন্নাহার লাকি জানান, ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর ২-৩ জন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী আমেরিকা কর্তৃক প্রাপ্ত শতভাগ স্কলারশিপে নিজের দেশের সংস্কৃতিকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরার সুযোগ পেয়ে থেকে। এ বছর ৩ জন বিজয়ীর মধ্যে একমাত্র মেয়ে হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছে কনা। বর্তমানে এলাবামা স্টেস্টে ট্রয় ইউনিভার্সিটিতে গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে একটি সেমিস্টার পড়ার পাশাপাশি বাংলা সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করছে।

গ্লোবাল ইউগ্রেড ইক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম একটি আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব স্টেস্ট কর্তৃক প্রদত্ত বৃত্তি। বেশ কিছু পরীক্ষা ও ধাপের মাধ্যমে তারা প্রতিনধি বাছাই করে থাকে। এরপর বিনা খরচে আমেরিকাতে এক সেমিস্টার পড়াশুনা, থাকা, এবং বৃত্তি দিয়ে থাকে। যেখানে বিভিন্ন কর্মসুচির মাধ্যমের দেশীয় কালচার কে তুলে ধরে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি।

মাহমুদা ইয়াসমিন কনা এ প্রতিনিধিকে জানান, শৈশব থেকেই সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়েই আমার বেড়ে ওঠা। দীর্ঘদিন ধরে মাগুরার আবৃত্তি সংগঠন কণ্ঠবীথির সাথে যুক্ত থাকায় বাংলা সংস্কৃতির প্রতি বিশেষ আগ্রহী হয়ে পড়ি। এখান থেকেই জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে সঙ্গীত ও নৃত্য বিভাগের সাথে যুক্ত হই।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বিইউপি লিটারেচার ক্লাব এবং বিইউপি ফিল্ম ক্লাবের সাথে কাজ করছি প্রথম বর্ষ থেকেই। এছাড়াও জড়িত আছি মনুষ্যত্ব ও ইউনাইটেড একশন ফাউন্ডেশনের সাথে। বাংলা সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা আমাকে এই বৃত্তির জন্য অনুপ্রাণিত করে তুলে।

কনার বাবা ফসিয়ার রহমান ও মা শামসুন্নাহার লাকি দুজন সরকারি চাকরিজীবী এবং মাগুরার সাহিত্য সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ।

(এমএইচএল/এএস/নভেম্বর ১৫, ২০২১)