এ কে আজাদ, রাজবাড়ী : আগামী ২৮ নভেম্বর রাজবাড়ীর কালুখালি উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে ৩য় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ছাড়াও রয়েছে আ'লীগের বিদ্রোহী (সতন্ত্র) সহ বিএনপি সমর্থিত সতন্ত্র ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী।

কালুখালি উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান নবাব এর প্রতিদ্বন্দ্বী কোন প্রার্থী না সে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীয় নির্বাচিত হয়।

অন্যদিকে উপজেলার মাঝবাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান কাজী শরিফুল ইসলাম এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে সতন্ত্র (বিদ্রোহী) ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ হোসেন মোল্লা।

একাধিক বার সতন্ত্র (বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউসুফ হোসেন মোল্লা অভিযোগ তুলেছে তার কর্মী সমর্থক দের উপর হুমকি দিচ্ছে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার ভাই কালুখালি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলাম।

তবে গত রাতের সতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থক দের উপর হামলা চালানো হয়েছে এমন একটি অভিযোগ তুলেছে ইউসুফ হোসেন মোল্লা ও তার ছেলে। তবে ইউসুফ হোসেন মোল্লার কর্মী সমর্থক দের তুলা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে সেখানে বলতে শোনা যাচ্ছে সব লাঠি নে, অন্য আর একজন কে বলতে শোনা যাচ্ছে এই মেশিন নে।

গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী সাইফুল ইসলাম কে এই ইউনিয়ন থেকে সকাল ৯ টায় নির্বাচন বর্জন করতে দেয়া গিয়েছিল।যা ছিল নজিরবিহীন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পর ও আ'লীগের প্রার্থীর মাঠে থাকতে না পারা।

তখন ও সতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে থেকে নির্বাচনী মাঠে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায় মাঝবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী ইউসুফ হোসেন মোল্লা কে৷ উপজেলা নির্বাচনের পর পর চাঞ্চল্যকর রবিউল হত্যার মত ঘটনা ঘটে। রবিউলের পরিবার অভিযোগ তোলে নৌকার পক্ষে কাজ করার ফলে ইউসুফ হোসেন মোল্লা ও তার লোকজন এ হত্যা করেছে। পরে অবশ্য সতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী ইউসুফ হোসেন মোল্লা ও তার ২ ছেলে সোহেল মোল্লা ও রাসেল মোল্লা দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলো। এখন তারা সবাই জামিনে আছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে বোঝা যায়, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মত ঘটনা ঘটতে চলেছে। এই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

কালুখালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাজমুল হাসান এর সাথে মাঝবাড়ি ইউনিয়নের নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন,আপনি নিজেও জানেন ইউপি নির্বাচনটি খুবি সেনসিটিভ,এখানে সমাজ কেন্দ্রিক একটা প্রভাব থাকে। শুধু মাঝবাড়ি নয় আমার থানা এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে সমান গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারি। কোন প্রকার অপরাধ সংগঠিত হওয়ার সাথে সাথে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখানে নির্বাচন কমিশন, ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিদিন মুভমেন্ট করছে সাথে আমরা থাকছি তারপর ও যদি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায় তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

(একে/এএস/নভেম্বর ১৯, ২০২১)