নওগাঁ প্রতিনিধি : সোমবার বিকেলে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কলমুডাঙ্গা সীমান্তে বসুমিধা বিল থেকে মমিন (১৯) নামে এক গরু ব্যবায়ীর ভাসমান লাশ উদ্ধারের মাত্র ২১ ঘন্টা পর মঙ্গলবার উপজেলায় হাপানিয়া সীমান্তের পুনর্ভবা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় ইছাহাক আলী (১৮) নামে আরেক বাংলাদেশী গরুব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সীমান্তের ২৩৭ নং পিলার এলাকায় পুনর্ভবা নদীতে ইছাহাক আলীর ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে গ্রামবাসী স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেয়। তাৎক্ষনিক বিজিবি ক্যাম্পের পক্ষ থেকে থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

গ্রামবাসী জানান, শনিবার এলাকার একদল গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে ইছাহাকও চোরাই পথে গরু আনতে ভারতে যায়। রবিবার অন্যান্য গরু ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে ফিরে আসলেও সে নিখোঁজ হয়। এলাকার গরু ব্যবসায়ীরা জানায়, গরু নিয়ে চোরাই পথে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ওই ব্যবসায়ী ভারতীয় পান্নাপুর ৩১ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে। নিহত গরু ব্যবসায়ী ইছাহাক উপজেলার কৃষ্ণসদা গ্রামের ইউসুফ আলীর পুত্র।

সে নওগাঁ সরকারি ডিগ্রী কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিল বলে জানা গেছে। উল্লেখিত ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল ১০টায় হাপানিয়া সীমান্তের ২৩৬ নং মেইন পিলার এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে জোর প্রতিবাদ জানানো হয়। বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকে নেতৃত্ব দেন, নিতপুর কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার হারুনুর রশিদ ও বিএসএফ’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের পান্নাপুর বিএসএফ কোম্পানী কমান্ডার ইন্সপেক্টর জেভার সিং।

এ বিষয়ে বিজিবি পতœীতলা ১৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মেজর ইকবাল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, এবিষয়ে মঙ্গলবার ওই স্থানে উভয় দেশের কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও সেই বৈঠকে কোন সমাধান হয়নি। আমাদের পক্ষ থেকে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তবে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর আবারো উভয় দেশের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে একই বিষয়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।

(বিএম/এএস/সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৪)