লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : লোহাগড়া পৌর এলাকার গোফাডাঙ্গা গ্রামে মামলা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রবাসীর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় মহিলাসহ ৪ জন আহত হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা বাড়ি ভাংচুর করে ব্যাপক লুটপাট চালায়। হামলার পর ক্ষতিগ্রস্তরা গত বুধবার দিবাগত রাতে থানায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করতে অনীহা প্রকাশ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া পৌর এলাকার গোফাডাঙ্গা গ্রামের মন্নু মোল্যা সমর্থিত এনামুল শেখের ১৬ শতক জমি নিয়ে একই গ্রামের সৈয়দ মনি সমর্থিত মহানন্দ বিশ্বাসের সাথে দীর্ঘদিন বিরোধের জেল ধরে সাথী বেগম বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামী করে ২০১২ সালে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৪৪/১২। সম্প্রতি ওই মামলার আসামী মহানন্দ বিশ্বাস, সৈয়দ নওশের আলী ও সৈয়দ আফসার আলী আদালতে উপস্থিত হয়ে হাজিরা দিলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল-হাজতে প্রেরণ করেন। গত মঙ্গলবার ওই আসামীরা জামিনে মুক্তি পেয়ে পরের দিন বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মহানন্দ বিশ্বাস, সৈয়দ নওশের আলী, সৈয়দ আফসার আলীর নেতৃত্বে লিয়াকত আলী, শরিফুল শেখ, সানাল ধনি, তোতা শেখ, শহিদুল্লাহ শেখ, সিরাজ শেখ, ইকবাল শেখসহ শতাধিক লোকজন লাঠি-সোঠা, রামদা, কুড়াল, লোহার রড় নিয়ে প্রতিপক্ষ প্রবাসী সৈয়দ আবুল বাসারের বাড়িতে চড়াও হয়ে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় সৈয়দ আবুল বাশার (৫০), পারভিন বেগম (৩২), রুবেল শিকদার (১৫) ও হেনোয়ারা বেগম (৩৫) গুরুত্বর আহত হয়।

এ সময় সন্ত্রাসীরা সৈয়দ আবুল বাসারের বাড়ি ব্যাপক ভাংচুর করে ৩ লক্ষ টাকা, ১২ ভরি স্বর্ণালংকার, ধান, চালসহ বাড়ির আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। আহতদের লোহাগড়া ও নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে লোহাগড়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক নয়ন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সন্ত্রাসী হামলার পর ক্ষতিগ্রস্তরা বুধবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হাফিজ ইকবাল মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নড়াইল-১ ও নড়াইল-২ আসনের এমপি’র চাপের কারণে মামলা গ্রহণে বিলম্ব হচ্ছে।
(আরএম/এএস/এপ্রিল ২৪, ২০১৪)