মাগুরা প্রতিনিধি : যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট বীরেন শিকদার বলেছেন, দেশে হিন্দু মুসলিমসহ সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে  বসবাস করলেও কতিপয় সন্ত্রাসী এই শান্তি বিনষ্ট করতে সংখ্যালঘুদের উপর বিভিন্ন সময় আক্রমণ করে থাকে। সরকার এসব সন্ত্রাসীদের সমাজ থেকে নিশ্চিহ্ন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

প্রতিমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার দুপুরে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদ নেতা পংকজ বসুর নারায়ণপুর গ্রামের বাড়িতে তার পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দিতে গিয়ে এ কথা বলেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসাক মাহবুবর রহমান, পুলিশ সুপার হিজাদুল কবির, নিহতের ভাই বিপদ ভজন বসু।

আরও উপস্থিত ছিলেন মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান, মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু নাসির বাবলু, মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক কানু তেওয়রী প্রমুখ।

প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরো বলেন, সরকার সব ধর্মাবলম্বী মানুষের পাশে সব সময় আছে। ভবিষ্যাতেও থাকবে। তিনি নির্বিগ্নে সকলকে শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থানে থেকে বসবাস করতে আহবান জানান। মন্ত্রী এ সময় নিহত পংকজ বসুর স্ত্রী রেখা বসু, তিন সন্তান প্রদিপ, প্রকাশ ও প্রনবসহ পরিবারের অন্যান্যদের সমবেদনা জানান ও এই খুনের সাথে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে খুজে বের করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, মহম্মদপুর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের আক্কাস নামে এক বর্গা চাষির সঙ্গে গত শুক্রবার দুপুরে জমির মালিক পংকজ বসুর কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে বিনোদপুর-নহাটা সড়কের নারায়ণপুর মধ্যে পাড়া মসজিদ এলাকায় পংকজ বসুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে আক্কাস ও তার সহযোগী আশিকুল, সাইফুলসহ ৭/৮জন দুর্বৃত্ত। যা তিনি মৃত্যুর আগে পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে বলে গেছেন। তাকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

(ডিসি/এএস/সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৪)