উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : আগামী ২৮ নভেম্বর রাজবাড়ী কালুখালি উপজেলার মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হচ্ছে। আতংকে রয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন। 

এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ.বি.এম রোকনুজ্জামান (নৌকা), সতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী সদ্য বহিস্কৃত উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান(মজনু) (মোটরসাইকেল) ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম মৃধা (আনারস)।

তবে জেলা জুড়ে সন্ত্রাসী বাহিনী নেত্রীত্ব দেওয়া ও (১০ টি) হত্যা, চাঁদাবাজি, মাদক ও অস্ত্র মামলার আসামী মিজানুর রহমান (মজনু) এলাকায় আতংক ছড়াচ্ছে। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে থেকে এলাকায় অরাজকতা চালিয়েছিলো। নৌকায় ভোট দেওয়ার ফলে নির্বাচন পরবর্তী ১৫/২০ টি বসত বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়।

এবারো সেই পথেই হাটছে মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী পরিবেশ। নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে ও ভয় পাচ্ছে কর্মী সমর্থকরা। যার মুল কারণ চেয়ারম্যান প্রার্থী মজনু। রাত হলেই এলাকায় মজনুর সন্ত্রাসী বাহিনী টহল দেয়।

মদাপুরের সাধারন মানুষের সাথে কথা হলে নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ভাই একটা ভোটের জন্য নিজের বিপদ কেউ ডেকে আনবে না। বিগত নির্বাচন গুলতে ও মজনুর সন্ত্রাসী বাহিনীর কথা মত কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে আসতে হয়। এই তো গত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকার পর ও আমরা আওয়ামীলীগ করে নৌকায় ভোট দিতে পারি নাই। এবার ও ইচ্ছা থাকা শর্তেও নৌকায় ভোট দিতে পারবো না। ভোট দিলেই রাতেই বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর চলবে। কি দরকার আছে ভোট এর জন্য বিপদ টেনে আনবো।

আরও অনেকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ভাই আমাদের নাম লিখলে ওরা টের পেলে মেরে ফেলবে।যদি নাম প্রকাশ না করেন কথা বলবো। মজনু জোর করেই চেয়ারম্যান হবে। প্রশাসন ও তার পক্ষে কাজ করবে। তা না হলে এত মামলার আসামী কি করে এখন এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অন্য কোন পার্থী মাঠে থাকা তো দুরের কথা ভোট চাইতে ও পারছে না। তাহলে কি মদাপুরে সাধারন মানুষের ভোটের কোন মুল্যে নাই?

(একে/এসপি/নভেম্বর ২২, ২০২১)