স্টাফ রিপোর্টার : রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)৷ এর জন্য তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হচ্ছে৷ জানা গেছে, রানার প্রকাশ্য বৈধ সম্পদের চেয়ে নামে-বেনামে অবৈধ সম্পদের পরিমাণই বেশি৷

আদালতের নির্দেশে রানার কিছু সম্পদ অবশ্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ইতিমধ্যেই৷ এর মধ্যে রয়েছে রানা প্লাজার ১৮ ভাগ, রানা টাওয়ারের ১৪ ভাগ এবং রানার গ্রামের বাড়ির ১৭৪ শতাংশ জমি৷ কিন্তু বাস্তবে রানার আরো বিপুল পরিমাণ স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পদ আছে৷

দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক-এর সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন যে, তারা রানার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছেন৷ তাদের তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে৷ দ্রুত তারা এই অবৈধ সম্পদ নিয়ে রানার বিরুদ্ধে মামলা করবেন৷

জানা গেছে, সাভার শহরে রানার আরো একটি বাড়ি, দুটি তেল কল, সাভারের বাইরে দুটি আধুনিক ইটভাটা, সাভারে দুটি প্লট এবং ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ টাকা আছে৷ এছাড়া তার বেনামে বেশ কয়েকটি অংশীদারি ব্যবসার কথাও জানা গেছে৷

গত বছরের ২৪শে এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১,১৩৫ জন শ্রমিক নিহত হন৷ রানা ঘটনার সময় ভবনের নীচ তলায় তার অফিসেই ছিলেন৷ সেখান থেকে বের হয়ে তিনি প্রভাবশালীদের সহায়তায় পালিয়ে যাওয়ার পর, সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়৷

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা নামের ওই ভবনটি ধসে পড়ে। এই ঘটনায় এক হাজার ১৩৬ জন নিহত এবং প্রায় দুই হাজার শ্রমিক আহত হন।

দেশের পোশাকশিল্পের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ দুর্ঘটনায় মোট তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। তিনটি মামলার মধ্যে একটি করে পুলিশ। ওই মামলায় ত্রুটিপূর্ণ জেনেও শ্রমিকদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার অভিযোগ আনা হয় সোহেল রানার বিরুদ্ধে।

সরাসরি হত্যার অভিযোগ এনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন নিহত শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী শিউলী আক্তার। অপর মামলাটি বিল্ডিং কোড অনুসরণ না করার অভিযোগে করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

(ওএস/এটি/এপ্রিল ২৪, ২০১৪)