নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীতে জেলা প্রশাসককে বিএনপির স্মারকলিপি প্রদানের সময় গণমাধ্যমকর্মীদের নিজ কক্ষ থেকে বের করে দিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান। 

জেলা প্রশাসক দায়িত্বরত গণমাধ্যমকর্মীদের রুক্ষ ভাষায় নিজ কক্ষ থেকে বের করে দেন। বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বুধবার দুপুরে বিএনপির জেলা কমিটির সভাপতি গোলাম হায়দার ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবদুর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মিদের নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে যান। কার্যালয়ের নিচে প্রধান ফটকের সামনে নেতাকর্মীরা ব্যানার নিয়ে কিছু সময় অবস্থান করেন। পরে জেলা প্রশাসকের কক্ষে প্রবেশ করেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এসময় গণমাধ্যমকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খানের কক্ষে প্রবেশ করলে বিএনপির নেতৃবৃন্দকে কক্ষে থাকতে বলে গণমাধ্যমকর্মিদের কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তার এমন রুঢ় আচরণে গণমাধ্যমকর্মিদের স্মারকলিপি প্রদানের ছবি সংগ্রহ না করেই বের হতে বাধ্য হয়।

ডিবিসির নোয়াখালী প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান চৌধুরী কাজল অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির স্মারকলিপি দেয়ার সংবাদটি আমার অফিস এ্যাসাইনমেন্ট ছিলো। সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে জেলা প্রশাসক আমিসহ গণমাধ্যমকর্মীদের ‘আপনারা কেন এসেছেন, বের হয়ে যান, এখান থেকে বের হয়ে যান বলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এসময় চ্যানেল টেয়েন্টিফোর ও বাংলাদেশপোস্টসহ জেলায় কর্মরত বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মি বের হয়ে যান। আমার অফিস এ্যাসাইনমেন্ট হওয়ায় ওই কক্ষে অপেক্ষা করি। কিছুক্ষণ পরেই তিনি আমাকে ‘এই আপনি এখনো বের হননি? বলেছি না বেরিয়ে যেতে, বের হন, বের হন বলে আবারও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

বাংলাদেশ পোস্টের জেলা প্রতিনিধি আজাদুল ইসলাম দ্বীপ আজাদ বলেন, জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তার সামনেই তিনি খুবই রুক্ষ ভাষায় আমাদের বের হয়ে যেতে বলেন। সাংবাদিকদের প্রত্যেকেরই আইডি কার্ড, বুম, ক্যামেরায় স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের লোগো সাঁটানো ছিলো।

চ্যানেল টেয়েন্টিফোরের ক্যামেরাপার্সন রফিক উল্যাহ সুমন বলেন, এত বছর কাজ করছি এভাবে আমাদের কেউ বের করে দেয়নি। উনি তো আমাদের চেনেন তবুও তিনি (ডিসি) হাত নির্দেশ করে তার কক্ষ থেকে সাংবাদিকদের বের করে দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, আমি আসলে চিনতে পারিনি। আমি মনে করেছি দলীয় (বিএনপির দলের নিজস্ব) ক্যামেরাম্যান।

(এস/এসপি/নভেম্বর ২৪, ২০২১)