নিউজ ডেস্ক : পৃথিবীর দিকে মাঝে মাঝেই ধেয়ে আসছে অসংখ্য গ্রহাণু। পৃথিবীতে সেটি আঘাত হানবে কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে উদ্বেগ। ধারণা করা হয়, ১৬০ মিটার চওড়া কোনো গ্রহাণু যদি পৃথিবীর জনবহুল কোনো এলাকায় আঘাত হানে তাহলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হবে। মারা যাবে হাজার হাজার মানুষ। আর ১ কিলোমিটারের চেয়ে বড় আকারের গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হলে তাতে বিশ্বজুড়েই ক্ষয়ক্ষতি হবে। 

এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এবার গ্রহাণুর আঘাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে পরীক্ষামূলক মিশন শুরু করেছে। বুধবার প্রথমবারের মতো ডার্ট নামে একটি যান মহাকাশে পাঠিয়েছে সংস্থাটি। মহাকাশযানটি ডাইমফোর্স নামে একটা গ্রহাণুর ওপর আঘাত হানবে। এতে তার কক্ষপথ এবং গতিবেগে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। বলা হচ্ছে, এটিই মানুষের প্রথম পরীক্ষা - যেখানে পৃথিবীকে রক্ষার উদ্দেশ্যে একটি গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা করা হবে।

ডার্ট নামের যানটির উচ্চতা মাত্র ১৯ মিটার অন্যদিকে যে গ্রহাণু দুটিতে আঘাত হানতে যাচ্ছে তাদের চওড়া ৭৮০ মিটার এবং ১৬০ মিটার। তাই এর আঘাত গ্রহাণুটির গতিপথে খুব বেশি পরিবর্তন আনতে পারবে না বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে, পৃথিবীকে আঘাতের হাত থেকে রক্ষা করতে যতটুকু প্রয়োজন তা এই যানটি দিয়ে সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।

মিশনের একজন বিজ্ঞানী টম স্ট্যাটলার বলছেন, বড় গ্রহাণুর চেয়ে ছোট গ্রহাণুর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই যদি পৃথিবীতে আদৌ কখনো গ্রহাণু আঘাত হানে - তাহলে সেটা ছোট আকারের হবার সম্ভাবনাই বেশি।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ২৫, ২০২১)