তুমি ফিরে এসো


বিনয়ের সুরে বলছি আমি-
তুমি ফিরে এসো এক মুষ্ঠি ভালোবাসা দাও,
আমি আর কবিতা লিখবো না ।
সুতীক্ষ্ণ লেখনীটা পান্ডুলিপির প্রতিটি পাতায়-পাতায় ঘসে
আমি আজ বড়ই ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত
তাই, বিনয়ের সুরে বলছি –
তুমি ফিরে এসো আমি আর কবিতা লিখবো না ।
একদিন কবিতাদের খুঁজতে গিয়েছিলাম –
সাগরের বুকে খুঁজেছি সারাটা রজনী,
দেখছি মানুষের কোলাহল দেখেছি সমুদ্র বিলাস
দেখেছি প্রেমিক-প্রেমিকার হাস্যোজ্জ্বল মুখ
আর কান পেতে শুনেছি- সাগর জলের অট্টোহাস্য
তবুও, কবিতাদের দেখা মেলেনি।
আজকাল কবিতারা বড়ই বেঈমান
নিজেকে অসহায় বোধ করি-
আর, বর্ণ গুলোর কথা, আজ না হয় থাক !
আজও বুকের মাঝে আগ্নিয় গিরির জ্বলন্ত লাভা উদ্গ্রীব হয় তবুও,
বিনয়ের সুরে বলছি-
তুমি ফিরে এসো আমি আর কবিতা লিখবো না ।
মাঘী পূর্ণীমা থেকে বসন্ত বরণের সন্দিক্ষনে
তোমার প্রতীক্ষায়- প্রতীক্ষিত আমি
তাই, বিনয়ের সুরে বলছি-
তুমি ফিরে এসো আমি আর কবিতা লিখবো না ।


হেমন্ত


হেমন্ত—
তুমি বলেছিলে আসবে.
তোমার প্রতিক্ষায় আমি পার করেছি কতো দিন - কতো মাস !
কেটে গেলো একটি বছর ।
অবশেষে তুমি এলে—
কুয়াশার চাদরে মুখটি ঢেকে !
বিশ্বাস করো, হেমন্ত –
দীর্ঘ একটি বছর অপেক্ষারত আমি
লোলুপ দৃষ্টিতে চেয়ে থাকি নীলাভ আকাশের দিকে অথবা নীল দিগন্তে---
অপলক নেত্রে দেখি মেঘ বালিকার অশ্রু ঝরা বদন
মাঠ ভরা সবুজ ধান !
আমি অপেক্ষায় আছি-
শুধু তোমারই জন্য
কখোন তুমি আসবে----?
হেমন্ত----
তুমি আসবে- আমার দুয়ারে ?
তোমাকে নিয়ে মেতে উঠবো নবান্নের উৎসবে
কলমি ফুলের গাঁথবো মালা,
খেজুর শাখার ঘোড়া বানিয়ে করবো দৌড় প্রতিযোগিতার মাতামাতি
তালে- তালে দুলবে আমার বক্ষ যুগোল
তুমি দেখবে আর হাসবে !
হেমন্ত---
তুমি এলে –
হালকা শীতের পরশে কুয়াশার চাদরে মুখ খানা ঢেকে,
পাগল কোথাকার !
কেউ কি এতো দেরীতে আসে ?
তুমি যখন এলে—
তখোন আমার যৌবনা নদী শুকিয়ে চলেছে !