স্টাফ রিপোটার, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলাধীন পাট্টা ইউনিয়নের মোঃ সমিরুল ফকির (৩৫) এর চায়ের দোকান পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সে পাট্টা ইউনিয়নের বয়রাট পশ্চিম পাড়ার মোঃ বদর উদ্দিন ফকিরের ছেলে।

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) পাংশা মডেল থানায় মোঃ সমিরুল ফকির বাদী হয়ে ১২ জনকে অভিযুক্ত করে লিখত অভিযোগ দায়ের করে।

অভিযুক্তরা হলো, উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মোঃ দিলবার সরদারের ছেলে আকুল সরদার (৪৫), মৃত ইসলাম সরদারের ছেলে হামিদ সরদার (৩০), মৃত তমছের সরদারের ছেলে বাবুল সরদার (৪০), অতির সরদারের ছেলে বাদশা সরদার (২৫), আবুল সরদারের ছেলে নায়েম সরদার (২২) ও এরশাদুল সরদার (২০), কাসেম সরদারের ছেলে আসাদুল সরদার (৩৫), আসাদুল সরকারের ছেলে আফ্রিদি সরদার (১৮), ডাবলু (৪০), বাবলু বিশ্বাস (৪৫), রবিউল (৪৫) সহ আরও অনেকেই।

অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, বাদী মোঃ সমিরুল ফকিরকে ২০/২২ দিন যাবত এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যাতে করে বাদী এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বিবাদীগণ লাঠিসোঁটা, হকস্টিক ও রামদাসহ আমার বাড়ির আসেপাশে মহড়া দেয়। এমনকি আমার বাড়ির সামনে থাকা আমার চায়ের দোকানে যেতে পারি না খুলতেও পারছি না। এখন আমার মাঠের ধান পেকে গেছে কাটতে হবে তারপরও যেতে পারছি না। এমন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাতে বিবাদীগণ আমার চায়ের দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। আমার চায়ের দোকানে আনুমানিক এক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। তারা না কি এখনো এলাকায় গেলে মারধর করবে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে জানতে পারলাম।

অভিযোগকারী মোঃ সমিরুল ফকির সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক কারণে পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব বিশ্বাস (মুনা) এ সব করাচ্ছে। আর যারা আমার চায়ের দোকানে আগুন লাগিয়েছে তারা সবাই চেয়ারম্যান মুনার লোক।

(একে/এএস/নভেম্বর ২৬, ২০২১)