রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সরকারের উন্নয়নে বাঁধা সৃষ্টি ও ইউপি নির্বাচনে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে সংবাদ সস্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২৮ নভেম্বর নলতা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ আবুল হোসেন পাড়।

সংবাদ সম্মেলনে আবুল হোসেন বলেন, তিনি আগামি ২৮ নভেম্বর নৌকা প্রতীক নিয়ে নলতা ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তিনি নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের দুর্দিনে কাজ করেছেন। ২০১৩ সালে বিএনপি নেতা ও নলতা ইউপি চেয়ারম্যান তিনটি নাশকতা মামলার আসামী আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে যখন জেলা জুড়ে নাশকতা চালানো হয়েছিল তখন তিনি তার কর্মীদের নিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছেন। প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজলা গ্রামের আজিজুর রহমান মনোয়নপত্র জমা দেন।

প্রতিদ্বন্দি প্রাথী তিনি জানতে পারার পর থেকে তার নির্বাচন কর্মী খোরশেদ আলমকে প্রচার প্রচারনায় বাধা দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল আজিজুল ইসলামের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য নির্বাচন পরিচালনাকারী টিমের প্রধান নূর ইসলাম, হত্যা মামলার আসামী শাহিনুর রহমান, তার ভাই তরিকুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, সবুর গাজী, গফুর গাজী, রেজাউল শেখ, আইয়ুব হোসেন, রবিউল ইসলাম বুল্লা, শহীদুল ইসলাম, আব্দুর রউফ পাড়, আব্দুস সবুর, আবু হাসান, রাজাকার আকবরের ছেলে শেখ মহিবুল্লাহ, মামুন বিল্লাহ। এ ঘটনায় হুমকি দাতাদের বিরুদ্ধে গত ১৫ নভেম্বর কালিগঞ্জ থানায় ৫৯৫ নং জিডি করে খোরশেদ।

এ ছাড়াও নানা আনছার আলী সরদার ও পরিবারের সদস্যদের হাত পা কেটে নেওয়া ও জীবননাশের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় নাতি ও আমার নির্বাচন কর্মী মিজানুর রহমান গত ২৪ নভেম্বর আজিজুল রহমানের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য কালাম বাবু, মধু সরদার, সবুজ মোড়লসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করে। এর একদিন পার না হতেই আজিজুল পাড়ের নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর উপরোক্ত সদস্যরা ২৫ নভেম্বর ভোর তিনটার দিকে নলতা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের পাইকাড়া অফিস ও নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়াও অফিসের অনেক জিনিসপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

এরপর আজিজুর রহমান বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আমাকে ভূমিদস্যু বানিয়ে, আমার ছোট ভাই ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামকে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য শহীদুলকে শিবির নেতা বানিয়ে নানা মনগড়া কথা উল্লেখ করে বৃহষ্পতিবার বিকেলে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সস্মেলন করেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। নির্বাচনে হেরে যাচ্ছে এমন আশঙ্কাতেই নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও আমার কর্মীদের হাত পা কেটে নেওয়া ও জীবন নাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মহব্বত আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ জয়নাল ইসলাম সহ আমার অনেক নির্বাচন কর্মীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে প্রকাশ্যে হাত-পা কেটে নেওয়া ও হত্যার হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও অদ্যবধি কোন ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি। দুর্ভাগ্যের বিষয় ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ও দলীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও তার দেওয়া অভিযোগটি এজাহার হিসাবে গন্য করা হয় নি। যাহা অত্যন্ত দুঃখ জনক।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি-জামায়াত একজোট হয়ে বর্তমান সরকারকে উৎখাত করতে চায়। আমাদের শান্তিপূর্ণ ভ্টো প্রক্রিয়াকে বানচাল করতে চায়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। একইসাথে সংবাদ সম্মেলন করে যে মিথ্যাচার করেছে তার তীব্র নিন্দা জানাই। আমার নির্বাচনী অফিসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আজিজুর রহমানসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

(আরকে/এসপি/নভেম্বর ২৬, ২০২১)