নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার দিবর ইউনিয়নে যাতে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী কোন পরিবারের সদস্যকে নৌাকা প্রতীক বরাদ্দ না দেয়া হয় সেই দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচীতে সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কয়েক জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। 

শনিবার দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে দেয়া লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, আসন্ন ৫ম ধাপের ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক বরাদ্দের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তাতে ওই ইউনিয়নের সচেতন জনগোষ্ঠী এবং বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট প্রতীয়মান হয়েছে ওই ইউনিয়নের চিহ্নিত স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্য সদ্য আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী মোঃ রেজোয়ান হোসেন আন্টুকে মনোনয়ন প্রদানের জোর প্রচেষ্টা চলছে। এতে ওই ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধাগন এবং স্বাধীনতার পক্ষের জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত ২৫ নবেম্বর দুপুর ১২টায় দিবর ইউনিয়নের নাকুচার মোড় নামকস্থানে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করে। বিভিন্ন ব্যানার ফেষ্টুন ইত্যাদি নিয়ে শান্তিপূর্ন মানববন্ধন কর্মসূচী চলাকালে উক্ত প্রত্যাশিত প্রার্থী রেজোয়ান হোসেন আন্টুর নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের একটি দল লাঠিসোটা ও দেশীয় নানা অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মানববন্ধনে হামলা চালায়। ত্রাসের রাজদ্ব কায়েম করে।

এ সময় মানববন্ধনে অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল লতিফসহ কয়েকজন মহিলাও আক্রান্তের শিকার হন। এরই প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৭১ সালে জীবনবাজি রেখে রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছি। সেই স্বাধীনতা বিরোধী কোন ব্যক্তি যাতে আসন্ন নির্বাচনে নৌকার প্রতীক না পায় সে ব্যপারে প্রয়োজন হলে আব্রা রক্ত দেয়া হবে।

একইদিন নওগাঁ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত পৃথক সংবাদ সম্মেলনে জেলার পত্নীতলা উপজেলায় বাঁকরইল দীঘিপাড়া গুচ্ছ গ্রামের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে সাধারন সম্পাদক পদের প্রার্থীকে জোরপূর্বক নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়ার অভিযোগ এবং ওই গুচ্ছগ্রামের দীঘির লীজ দেয়া অর্থ পুরোটা বাসিন্দাদের না দিয়ে প্রভাবশালীরা আত্মসাৎ করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। ওই গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে শনিবার দুপুরে নওগাঁ প্রেসক্লাবে আয়োজিত পৃথক এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ওই গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মাহফিজুর রহমান।

(বিএস/এসপি/নভেম্বর ২৭, ২০২১)