সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে নির্বাচন পরবর্তী দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। ৫/৬টি বাড়ি-ঘর ভাংচুরসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ। সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়নের ধূপাখালি চকবাজার সংলগ্ন কালু হাজী বাড়ি ও ধরবাড়ির লোকজনের মাঝে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষের পর আহতদের উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় তাদের স্বজনরা। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ৪নং ওয়ার্ডের বিজয়ী ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে এই সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একে অন্যের উপর আক্রমণ করে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ধরবাড়ির কাসেম মিয়া, রতন মিয়া ও খোকন মিয়াকে বাজিতপুরের ভাগলপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে কালু হাজী বাড়ির লোকজন ৫/৬টি বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ করেন ধরবাড়ির লোকজন।

এদিকে দুপুরে একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নোয়াগাঁও গ্রামের মৌলভী বাড়িতে হামলা চালায় ৯নং ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বার প্রার্থী হারুন মিয়ার লোকজন। ৯নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে বিজয়ী হয়েছেন মৌলভী বাড়ির মো. রফিক মিয়া। এই ক্ষোভে হামলা চালিয়ে ব্যবসায়ী পাভেল মিয়ার বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘরে হামলা চালায় হামলাকারিরা। এ সময় নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকারও লুটে নেয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, খবর পেয়ে উভয় এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তিনি নিজে সংর্ঘষস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরবর্তী যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেসব এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

(এসএস/এসপি/নভেম্বর ৩০, ২০২১)