ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারী ও পরুষ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে । 

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে ইউনিয়নের চরকুড়লিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার দুপুরে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর জানান, এখনও কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে, এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী রিকাত শেখ ও বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী আসাদুল প্রামানিকের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মেম্বার প্রার্থী হলেও এই দুইজন দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন।

জানা গেছে, চরকুড়ুলিয়া ও এর আশেপাশের এলাকায় হাট-ঘাট, চরের জমির দখল ও আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আগেও অনেকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রতি ইউপি নির্বাচনের আগে থেকেই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল । তারই জের ধরে সোমবার ও মঙ্গলবার দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে মঙ্গলবার রাতে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এ ঘটনা উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ এবং ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আহতদের পরিচয় এখনো জানা যায় নি। সংবাদ লেখা পর্যন্ত (বুধবার বিকেল ৩.৩০ মিনিট) মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে আশংকাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য পাবনা ও ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।

খবর পেয়ে রাতেই ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে অবস্থান নেন। তিনি জানান, পুলিশ আসার খবর পেয়ে এলাকা জনশুণ্য হয়ে পড়ে। অন্ধকার চর এলাকায় পালিয়ে যায়।

দু’পক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। এঘটনায় লক্ষীকুন্ডাসহ এর আশেপাশের এলাকাগুলোতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

(এসকেকে/এসপি/ডিসেম্বর ০১, ২০২১)