স্টাফ রিপোর্টার : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সিলেটের আলোচিত লেডি বাইকার ও মডেল রিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলায় জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাকে আট সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এরপর বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পন করার জন্য বলা হয়েছে।

সেই লেডি বাইকারের পক্ষে করা জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তার সঙ্গে ছিলেন বিভূতি ভূষণ সরকার ও পূর্ণিমা জাহান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় লেডি বাইকার রিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী পূর্ণিমা জাহান জামিন আবেদন করেন। ওই জামিন আবেদন শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।

রিয়ার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে পুলিশ। গত ৮ নভেম্বর এয়ারপোর্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গৌতম চন্দ্র দাশ বাদী হয়ে রিয়া ও তার বন্ধু আরমান সামীকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর গ্রেফতার করা হয় আরমান সামীকে।

সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির জানান, রবিবার রাতে আরমান সামীকে নিয়ে সিলেটের এয়ারপোর্ট-সংলগ্ন এলাকায় যান রিয়া। নীল রঙের একটি গাড়ি (ঢাকা-মেট্রো-খ-১৪-০৫১২) নিয়ে এদিক-সেদিক ঘুরছিলেন তারা। টহল পুলিশের সন্দেহ হলে গাড়িটি থামানোর সংকেত দেওয়া হয়। একটু দূরে গিয়ে থামে গাড়িটি। তখন গাড়ি থেকে এক তরুণী দ্রুত নেমে যান।

তিনি আরও বলেন, তাৎক্ষণিক আরমান সামীকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ। এরপর আরমান সামী জানান, পালিয়ে যাওয়া তরুণী রিয়া রায়। এ সময় পুলিশ গাড়ি তল্লাশি করে পানির বোতলে রাখা বিশেষ মদ ৫০০ মিলিগ্রাম, ইয়াবা ট্যাবলেট ১০ পিস ও দুই পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করে।

ওসি জানান, গ্রেফতার আরমান সামীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামি রিয়া রায়কে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে রিয়া রায়ের মোবাইলে কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০২, ২০২১)