স্টাফ রিপোর্টার : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে রেজাল্ট শীটে কাটাছেড়া, ফল পরিবর্তন করে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বালিয়াকান্দি উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবে সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগে সদস্য প্রার্ধী ( মেম্বার) সহদেব বিশ্বাস বলেন, আমি ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জঙ্গল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আকশুকনা কেন্দ্রের মেম্বার পদপ্রার্থী ছিলাম। আমার কেন্দ্রে ভোট গণনার সময় প্রিজাইডিং অফিসার ও বালিয়াকান্দি সরকারী কলেজের জীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক বিলাশ চন্দ্র বিশ্বাস ফলাফল ও ভোট বিনষ্ট করে এবং আমার এজেন্টকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। আমাকে পুলিশের মাধ্যমে মারধরও হুমকি ধামকি দিয়ে ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করে। প্রথমে আমাকে ৪৫৯ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেন। আমাকে বিজয়ী ঘোষনা করলে সমর্থকরা মিছিল করে। ৩০ মিনিট পরে পুলিশ আমাদের লোকজনকে লাঠি চার্জ করে সরিয়ে দেয় এবং আমাকে আটকে রেখে মারধর করে হাত ভেঙ্গে দেয়। পরবর্তীতে প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিশের নেতৃত্বে টাকার বিনিময়ে আমার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী মিহির বরণ সরকার তার প্রাপ্ত ভোট ৪০৩ ভোটের পরিবর্তে ৪৫৯ ভোটে বিজয়ী ঘোষনা করেন। ওই ফলাফল শীটে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩জন প্রার্থীর এজেন্টদের স্বাক্ষর দেখাযায়। আমি ভোট গণনার সময় থাকতে চাইলেও আমাকে ও আমার এজেন্ট লিটন বিশ্বাসকে থাকতে দেননি প্রিজাইডিং অফিসার। তবে রেজাল্ট শীটে আমার এজেন্ট লিটনের স্বাক্ষর জাল করেছেন। শুধু তাই নয় পুলিশের প্রার্থী হিসেবে মিহির বরণ সরকারকে ঘোষণা করেন প্রিজাইডিং অফিসার ( মোবাইলে রেকর্ড রয়েছে)। তখন আমি তার ফলাফলের প্রতিবাদ করলে আমাকে পুলিশে হুমকি ধমকি ও লাঠি চার্জ শুরু করে। আমাকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পুর্বক জবানবন্দি রেকর্ড করে। তখন আমি ভোট পূন:গণনার জন্য আবেদন করলে আমাকে বাধা দেয়। এক পর্যায় গোপন ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভোট গণনা করে। তখন দেখা যায় ফলাফলের পরিবর্তন। তারপর আমি ফলাফল মানতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ আমাকে আটক করে এবং ফলাফল মেনে নেয়ার জন্য হুমকি দেয়। তখন আমি উপজেলা নির্বাচন অফিসারের নিকট ফোন করলে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে আমাকে উপজেলাতে আসতে বলেন। তার কাছে আসলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপন করে পরদিন আসতে বলেন। আমি পরদিন গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও তিনি তা গ্রহণ না করে আইনের আশ্রয় নিতে বলেন।

তিনি আরো বলেন, প্রিজাইডিং অফিসার বিলাশ চন্দ্র বিশ্বাস ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার বিজন বালা এবং মিহির বরণ সরকারের এজেন্ট দয়াল ঘোষ ও সলিল কুমার বিশ্বাস ওরফে বাটুল যোগসাজসে রেজাল্টশীর্ট জালিয়াতির মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করতে বাধ্য করে। ফলাফল বাতিল করে আমি পুনরায় ভোট গণনার ও আমাকে জয়ী ঘোষণা হিসেবে দাবী জানাচ্ছি। এ বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অফিসার নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এ ধরণের কোন অভিযোগ আমি পাইনি।

(একে/এসপি/ডিসেম্বর ০২, ২০২১)