মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনিতে ইউপি নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতায় দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। এসময় প্রায় ১০টি বসতবাড়ি  ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মৃধারমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ, আহত ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয়ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে মৌসুমী সুলতানা বিজয়ী হন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত হন তোফাজে¦ল হোসেন গেন্দু কাজী।

নির্বাচনী জেরে শুক্রবার রাত সারে এগারোটার দিকে মৃধারমোড় এলাকায় গেন্দু কাজীর সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা চালান মৌসুমী সুলতানার কর্মী ও সমথর্করা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয় । এসময় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজির কর্মী –সমর্থকদের প্রায় ১০টি বসতঘর ভাংচুর করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ও শরিয়তপুর সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।

পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী বলেন, চেয়ারম্যান মৌসুমি সুলতানার স্বামী ফজলুল বেপারীর নির্দেশে রাতের আধারে আমার কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ঘরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়েছে ও আমার বেশ কয়েকজন কর্মি সমর্থক আহত হয়।

বিজয়ী চেয়ারম্যান মৌসুমি সুলতানার স্বামী ফজলুল হক বলেন, এ মারামারি নির্বাচন নিয়ে হয়নি। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে হামলা ও ভাংচুর হয়েছে। এতে আমার কোন হাত নেই।

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইসতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

(এএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৪, ২০২১)