মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ডিজেল-কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে দ্রব্যমূল্যের দামও। প্রভাব পড়তে শুরু করে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারে। সেই সাথে শাক সবজির বাজারেও বৃদ্ধি পায় দাম। গত এক সাপ্তাহ আগেও মৌলভীবাজার শহর ও আশপাশের গ্রামীন হাটগুলোতে ছিল শাক সবজির ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি, এমন পরিস্থিতে বিপাকে পড়েন সাধারণ নিম্নবিত্তরা।

দেখা যায়, যেখানে গত এক সাপ্তাহ আগেও মৌলভীবাজারে প্রতি কেজি সিম বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা,লাল শাক প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ফুলকপি ১শ থেকে ১শ ২০, টমেটো ১শত ৩০ টাকা, পাতাকপি ৮০ টাকা, শষা ৫০ থেকে ৬০,পেয়াজ পাতা প্রতি কেজি ১শত টাকা,কাঁচা মরিচ ১শত ২০ টাকা,ধনিয়া পাতা ১শত টাকা,শালগম ৬০টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা,মুলার শাক ৪০ টাকা , লাউ ৭০ থেকে ৮০ টাকা, লুভি৭০ থেকে ৮০ টাকা ও বাজারে আসা নতুন দেশি আলু ১শ ৫০ টাকা কেজি দরে পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। তবে সাপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে শীতকালিন শাক সবজির দাম কেজি প্রতি অর্ধেকে নামতে শুরু করেছে। দাম কমায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষের মাঝে।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে সরেজমিনে মৌলভীবাজার শহরের পশ্চিমবাজার,টিসি মার্কেটসহ শহর ও আশপাশের কয়েকটি গ্রামীণ বাজার ঘুরে দেখা যায়,শীত বাড়ার সাথে সাথে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষি পণ্য ও শীতকালিন শাক সবজিও বাজারে আসতে শুরু করেছে। পাশাপাশি আড়ৎগুলোতেও বাড়ছে সর্বরাহ। এতে সাপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে শাক সবজির দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি সিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। লাল শাক প্রতি কেজি ৩০ টাকা,ফুল কপি ৫০, পাতাকপি ৩০ টাকা, শষা ৩০,পেয়াজ পাতা প্রতি কেজি ৬০ টাকা,কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা,ধনিয়া পাতা ৬০ টাকা,শালগম ৪০টাকা, মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা,মুলার শাক ২০, লাউ ৫০ থেকে ৬০, লুভি প্রতি কেজি ৫০ টাকা ও বাজারে আসা নতুন দেশি আলু ৫০ টাকা কেজি দরে পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। বাজারে শাক সবজির দাম কমার কারণে সরবরাহের পাশাপাশি বিক্রিও বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তবে অধিকাংশ শাক সবজির দাম কমলেও টমেটোর দাম একটুও কমেনি। বিগত বছরের এমন সময়ে জেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত টমেটো বাজারে অসতে শুরু করে। এবছর স্থানীয় উৎপাদিত টমেটো বাজারে না আসার কারনে দাম অতিরিক্ত বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

শহরের কুদরত উল্লাহ সড়কের পাশের ফুটপাতে বসে দীর্ঘদিন যাবত শাক সবজি বিক্রি করে আসছেন কানাই মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী। সবজির দাম কমার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, স্থানীয়ভাবে কৃষকরা শীতকালীন যে শাক সবজি উৎপাদন করেন, মূলত বাজারে এসব শাক সবজি আসতে শুরু করার কারণেই দাম কমতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, দাম কম হওয়ায় বিক্রি বেড়েছে আগের থেকে অনেকগুণ বেশি।

এদিকে বাজারে শীতকালীন শাক সবজির দাম কমলেও পেঁয়াজ, রসুন, তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম একটুও কমেনি। এ বিষয়ে কথা হয় শহরের পশ্চিমবাজার এলাকার মুদি ব্যবসায়ী অমল সাহার সাথে। তিনি বলেন, শাক সবজির দাম কমেছে এটি গরীব মানুষের জন্য স্বস্তির জায়গা হলেও অস্বস্তির জায়গা হচ্ছে অন্যান্য পণ্যে তো দাম কিছুতেই কমছেনা, বরং বেড়েই চলেছে।

(একে/এএস/ডিসেম্বর ০৪, ২০২১)