ওহিদুজ্জামান কাজল, মাদারীপুর : জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী এমপি বলেছেন, জনগণ যাকে ভোট দিবে সেই হবে আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি। সমর্থনের ব্যাপারে আমরা কাউকে কম বা বেশি সুযোগ দিবো না। প্রার্থীরা সবাই সমান সুযোগ পাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ওপর আস্থা রেখে দলীয় প্রতীক উম্মুক্ত রেখেছেন। আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। ১ম দফায় ১৩ ইউনিয়ন নির্বাচনে ৯জন নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। দলীয় মনোনয়ন দিলে জনগণ এই পরিবর্তন করার সুযোগ পেত না। আমরা উম্মুক্ত ইউপি নির্বাচনে সফলতা পেয়েছি। দু‘দিন আগে শিবচরে নির্বাচন কমিশনার এসেছিল।

এবারের নির্বাচন আগের চেয়ে আরো কঠিন হবে। তাই সবাইকে কঠোরভাবে নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। আমাকে কোন প্রার্থী ফোন করবেন না। আমাকে ফোন করে কেউ প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন না। কোন অভিযোগ থাকলে আমার মোবাইলে এসএমএস করে দিবেন। আমি দেখে ব্যবস্থা নিবো। প্রার্থীরা দলীয় নেতৃবৃন্দদেরও প্রভাবিত করবেন না। কারো কাছে যাবেন না। ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট অর্জনের চেষ্টা করুন।

সোমবার দুপুরে শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ৫ম দফা নির্বাচনে শিবচরের ২ ইউনিয়নের ৭জনকে দলীয় সমর্থন সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এসময় মাদারীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল লতিফ মোল্লা, পৌরসভার মেয়র মো: আওলাদ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ডা: মো: সেলিম, পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন তোতা খান, সাধারণ সম্পাদক শংকর ঘোষ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

চীফ হুইপ আরো বলেন, যে সকল ইউনিয়নে নির্বাচন হবে তাদের নেতৃবৃন্দকে আমরা আজ ডেকেছি। কারণ প্রতীক বরাদ্দ হলে নির্বাচনকে আরো কড়াকড়ি করা হবে। আমরা যাকে সমর্থন দিয়েছি তাদের কারণে যদি নির্বাচনে আচরনবিধি লঙ্ঘন হয় বা সন্ত্রাস বা টাকা ব্যবহার করার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় অথবা দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ হয় এমন কোন কাজ করে তাহলে তার সমর্থন বাতিল করা হবে। এটা আপনাদের মনে রাখতে হবে, কেউ এমন কোন কাজ করবেন না যাতে তার দলীয় সমর্থন বাতিল হয়ে যায়। আর সেই সাথে নির্বাচন কমিশনের কাছে ওই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করার জন্যও সুপারিশ করবো। এক ইউনিয়নের নির্বাচনে অন্য ইউনিয়নের কোন নেতা যেতে পারবে না। কেউ গেলে সে কিন্তু এ্যারেস্টও হতে পারেন। তাই প্রার্থীরা নির্বাচনী কৌশল মোতাবেক জনগণের কাছে যান। ভোটারদের কাছে ভোট চান। নির্বাচনে পার্শ্ববর্ত্তী ইউনিয়নের কোন লোককে আনবেন না। প্রশাসনকে এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

(ওকে/এএস/ডিসেম্বর ০৬, ২০২১)