আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি রাস্তা দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। উপজেলা এলজিইডি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের গৈলা বাজার থেকে গুপ্তেরহাট পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন গৈলা বাজারের ব্যবসায়ী, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করছে। রাস্তাটির কিছু কিছু জায়গায় ভেঙ্গে গিয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। ওই রাস্তায় চলাচলকারী অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রায়ই।

ঝুঁকিপূর্ন রাস্তায় চলাচলকারী ব্যবসায়ী সবুজ ফড়িয়া বলেন, প্রায়দিনই আমাদের দোকানের মালামাল নেয়ার সময় গর্তে পড়ে ভ্যান উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনাসহ মালামালের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এই রাস্তা ছাড়া মালামাল নেয়ার আর কোন রাস্তাও নেই। তাই বাধ্য হয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে আমাদের।

এলাকাবাসী এলজিইডি বিভাগে বারবার সংস্কারের দাবি জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। রাস্তার বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল, কলেজ ও বাজারে আসা পথচারী ও যানবাহন চালকদের। পথচারী ও গাড়ির যাত্রীদের দুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার গুপ্তেরহাট, কুমারভাঙ্গা, রাংতাসহ গৈলা বাজার আসার জন্য গুরুত্বপূর্ন একটি অন্যতম সড়ক এটি।

এই রাস্তায় চলাচলকারী বাদল হোসেন, জাকির হোসেন জানান, এ রাস্তাটি নির্মাণে নিম্নমানের কাজ করা হয়েছিল। এতে তৈরি হয়েছে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত। উপজেলার একমাত্র সরকারি গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, গৈলা দাখিল মাদ্রাসার শতশত শিক্ষার্থী ও গৈলা বাজারে আসা লোকজন এ ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। এজন্য চলাচলের উপযোগী করার জন্য অতিদ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন।

রাস্তাটি মেরামত না করায় রাস্তার বেশিরভাগ স্থানেই বিটুমিন ও ইট-পাথর উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ভ্যান চলছে ধীরগতিতে।

গুপ্তেরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মাসুদ সরদার জানান, রাস্তার অসংখ্য স্থানে কার্পেটিং উঠে ইটের খোয়া ও পাথর বেরিয়ে পড়েছে। রাস্তা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দ। এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও ভ্যান, ইঞ্জিনচালিত যানবাহন চলাচল করছে।

ইজিবাইক চালক আজিজ ফকির বলেন, রাস্তায় অনেক খানাখন্দ থাকায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে সুস্থ-সবল মানুষও অসুস্থ হয়ে পরছে। এতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি খানাখন্দ থাকার পরও কেন সড়কটির সংস্কার করা হলো না তা আমাদের জানা নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী অতিরিক্ত দায়িত্বে অহিদুর রহমান বলেন, রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য সরেজমিন গিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাস্তাটির সংস্কার কাজ খুব দ্রুত শুরু করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

(টিবি/এসপি/ডিসেম্বর ০৬, ২০২১)