স্টাফ রিপোর্টার : বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে সব থেকে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত। করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করলে স্বাস্থ্য খাতের দৈন্যতা জনগণের সামনে প্রকাশিত হয়ে ওঠে। ১৮ কোটি জনগণের স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

গতকাল ৮ ডিসেম্বর মতিঝিলে দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটির পক্ষ থেকে" বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. মুহাম্মদ মাহাতাব হোসাইন মাজেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সবুজ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শাহীন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার বার্তা'র নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ রেফাত সিদ্দিকী, দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকার মহাব্যবস্থাপক এ কে এম শফিকুল আলম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন।

প্রধান অতিথি বাপ্পি সরদার তার বক্তব্যে বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সেবা প্রাপ্তিতে চলমান বিভিন্ন দুর্বলতা প্রকাশ পাওয়ায় রাষ্ট্রের জনগণ অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটি ধারাবাহিকভাবে রোগীদের অধিকার ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে করছে যা প্রশংসার দাবি রাখে।

উদ্বোধক শাহাদাত হোসেন শাহীন তার বক্তব্যে বলেন, আমরা নাগরিকদের জন্য তথ্য সেবা নিশ্চিতে কাজ করছি। তবে রাষ্ট্রের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের বিষয়টি আমাদের মৌলিক অধিকার। গণমাধ্যমকে সাথে নিয়ে রোগী কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে আমরা স্বাগত জানাই।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ডা. মুহাম্মদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ বলেন, আমরা চেষ্টা করছি ধারাবাহিকভাবে রোগীদের সেবা প্রাপ্তি ও অধিকার নিশ্চিত করতে। রোগীর সেবা প্রাপ্তিতে হাসপাতালগুলোতেও হয়রানি বন্ধ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। পর্যায় ক্রমে সকল গণমাধ্যম অফিসে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হবে।

এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন , বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, গণমুক্তি এডিটর কবিরুজ্জামান মিয়া, বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটির সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াছ আহমদ সহ দৈনিক গণমুক্তি সাংবাদিক কর্মকর্তা, কর্মচারী বৃন্দ।

(পিআর/এসপি/ডিসেম্বর ০৯, ২০২১)