হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : ঈদ ও দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে হবিগঞ্জের সীমান্ত এলাকা দিয়ে আসছে ভারতীয় শাড়ী। হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের বড় বড় বিপনী বিতানগুলোকে টার্গেট করে চোরাকারবারীরা আনছে এই শাড়ী। ১ হাজার থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা দামেরও শাড়ী আসছে চোড়াই পথে। চোরাই পথে শাড়ী আনার খবর জানতে পেরে পৃথক অভিযানে অর্ধকোটি টাকার শাড়ীসহ ১ জনকে আটক করেছে বিজিবি ও এনএসআই।

মঙ্গলবার রাত ১টায় মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া সীমান্তের ১৯৭৯নং পিলারের কাছ থেকে ৩২০ পিস ভারতীয় শাড়ী আটক করে বিজিবি। যার মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা। রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাবিলদার বেলায়েত, জহির ও সুবেদার হানিফ এই শাড়ী আটক করলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার মেজর জানান, ভারতীয় শাড়ী আটকের জন্য বিজিবি তৎপর রয়েছে। প্রতিদিনই বিজিবি এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করছে।
এদিকে, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর রেলক্রসিং এলাকা থেকে ৭ বস্তা ভারতীয় শাড়িসহ একজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় শাড়িগুলো একত্রে করে গাড়িতে উঠানোর সময় চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ ইউনিয়নের নয়ানী গ্রামের সফর আলীর পুত্র তাজুল ইসলামকে আটক করা হয়। শাড়ীগুলোর মূল্য হবে ২০ লক্ষ টাকা।

আটক তাজুল ইসলাম জানায়, সে চোরাকারবারের সাথে জড়িত নয়। তাকে এক হাজার টাকা দিয়ে শ্রমিক হিসেবে আনা হয়েছে। শাড়িগুলো মৌলভীবাজারে সেলিম মিয়া নামে এক ব্যক্তির দোকানে নেয়া হচ্ছিল। এনএসআই’র গোয়েন্দারা শাড়ি ও আটক ব্যক্তিকে রাতেই হবিগঞ্জ সদর থানায় সোপর্দ করেন।

(পিডিএস/এটিঅার/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৪)