রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে ১৯৭১ সালের বধ্যভ’মি সংরক্ষণের দাবীতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। ’৭১ সালের বধ্যভ’মি ও স্মৃতি সংরক্ষন কমিটি সাতক্ষীরা শাখার আহবায়ক বিশিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকারের নেতৃত্বে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৯৭১ সালে সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে দীনেশ কর্মকারের জমিতে পাক হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা স্কুলে আশ্রয় নেওয়া ভারতগামী শরনার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা করে এবং কয়েকশত নারী পুরুষ ও শিশুদের কে নৃশংসভাবে হত্যা করে ও আহত করে মাটি চাপা দেয়। পরবর্তীতে এবং বর্তমানে যথাযথ উদ্যোগের অভাবে সেই স্থানটি সংরক্ষণ করা হয়নি। যার ফলে বর্তমানে সেই স্মৃতিবিজড়িত স্থানটি ব্যক্তি মালিকানায় চলে যায়। স্থানটির কিছু অংশ এখনও অব্যবহারিত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রতিবছর জেলা প্রশাসন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল রাজনৈতিক দল, মুক্তিযোদ্ধা এবং সাধারণ মানুষ এখানে স্মৃতিচারণ, আলোবাতি প্রজ্জ্বলন সহ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করে আসছে।

অথচ গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমগ্র দেশে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকালিন সময়ে সংঘঠিত গণহত্যা/ গণকবর ও বধ্যভ’মি চিহ্নিতকরন ও সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ/ স্মৃতিসৌধ নির্মান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে যে, উক্ত স্থানটি সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করতঃ ১৯৭১ সালের গণকবর ও বধ্যভ’মি সংরক্ষণ এবং স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান করে শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শণ ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করা হোক যা সাতক্ষীরাবাসির একান্ত দাবী।

স্থানীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষের একান্ত দাবি, যাহাতে দীনেশ কর্মকারের উক্ত স্থান ঝাউডাঙ্গা সহ অন্যান্য বধ্যভূমি চিহ্নিত করে সেখানে স্মৃতিসৌধ নির্মান করা হোক।

স্মারকলিপি পেশকালে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্পাদক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মোস্তফা নুরুল আলম ও মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত।

(আরকে/এসপি/ডিসেম্বর ১২, ২০২১)