রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বাসাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে পোষ্টারিং করেছে একটি মহল।

সোমবার বিকালে উপজেলা পরিষদ গেইট সংলগ্ন চায়ের দোকানের দেওয়ালেসহ বিভিন্ন স্থানে কম্পিউটার টাইপকৃত অভিযোগটি চোখে পড়ে।

ওই চায়ের দোকানী নিলু চৌধুরী বলেন, সকালে এসেই দেখতে পাচ্ছি কারা যেন এ পোষ্টারটি আঠা দিয়ে সাটিয়েছেন।
পোষ্টারটিতে উল্লেখ করেছেন, “ চোর” দুই পাশে প্রধান শিক্ষক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ও শিক্ষক আফরোজা ইয়াসমিনের ছবি। পরের লাইনে বাসাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন বিষয়ে জালিয়াতি অবৈধ শিক্ষক নিয়োগ ও বিলকরণ প্রসঙ্গে। বালিয়াকান্দি উপজেলার অদুরে বাসাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। যার প্রতিষ্ঠান প্রধান হলেন মোঃ সিদ্দিকুর রহমান। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি ২০১০ সালের ১ মে এমপিওভুক্ত হয়। এ প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক যতেষ্ঠ অনিয়ম, জালিয়াতি শিক্ষক নিয়োগে দুর্ণীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছে। ওই নিয়োগে তৎকালীন গভনিং বডির সভাপতি লিয়াকত আলী দেখেন যে, আফরোজা ইয়াসমিন ও মাসুদুর রহমান নামে ২জনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যা নীতিমালা বর্হির্ভুত ও অবৈধ। এ কারণে তিনি নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত হননি ও স্বাক্ষর করেননি। এদিকে প্রধান শিক্ষক গভনিং বডির সহ-সভাপতির স্বাক্ষর দেখিয়ে নিয়োগ কার্য সম্পন্ন করেন। যার স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে তিনি সহ-সভাপতি নিয়োগের ৩ বছর পুর্বে মারা গেছেন। এছাড়াও শিক্ষক যোগ্যতার আগেই শিক্ষক হিসেবে আফরোজা ইয়াসমিন নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ওই নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে ২০০৩ সালের ১ মে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায়। কিন্তু আফরোজা ইয়াসমিনের সমাজবিজ্ঞান পদে নিয়োগ দেখানো হয়েছে। প্রথম ফলাফল উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস জিপিএ ৩.০৫ ডিসেম্বর ২০০৪ সাল। অথচ আফরোজা ইয়াসমিনের পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা চুড়ান্ত ফলাফলের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস সার্টিফিকেট অর্জন করে ২১ এপ্রিল ২০০৮ সাল। এতে দেখাযায়, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে বিএসএস পাস সার্টিফিকেট অর্জন করতে সময় লাগে প্রায় ২ বছর এবং চুড়ান্ত সার্টিফিকেট অর্জন করতে সময় লাগে ৫ বছর। আফরোজা ইয়াসমিন প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী হওয়ায় অযোগ্য ও ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে বেতন বিল করানোর জন্য শিক্ষা অফিস ও দপ্তরে তদ্বীর চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নতুন স্কুল একটু আধটু সমস্যা থাকেই। অভিযোগ আসলে আর কি করার আছে। তবে পোষ্টরিংয়ের বিষয়ে কিছু জানি না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী এজাজ কায়সারের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে পোষ্টারিং করাটা আমাদেরকেও অবমাননা। আমাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(একে/এসপি/ডিসেম্বর ১৩, ২০২১)