সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে ভাই রাহাত কবির আলম হত্যার প্রধান আসামি রকি ১৩ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। পরে বিচারক তাকে জেল-হাজতে পাঠিয়েছেন। 

কুলিয়ারচর থানার ওসি (তদন্ত) মো. লুৎফর রহমান জানান, রকি ঘটনা ঘটিয়ে ঢাকা সাভারে পলাতক অবস্থায় ছিলো। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ সাভারে অভিযান চালালে রকি সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর সে ঢাকা এয়ারপোর্টের দক্ষিণ এলাকায় আত্মগোপন করে। পরবর্তীতে সেখানেও পুলিশ অভিযান চালালে, আবারো সে পালিয়ে যায়। এমনভাবে বারবার বিভিন্ন স্থানে পুলিশী অভিযান পরিচালনার কারণে অবশেষে সে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং- ২ এ এসে আত্মসমর্পণ করে। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

গত ৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পরিবারের লোকজনদের নিয়ে ওয়াজ শুনে ফেরার পথে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছোট বোন চুমকিকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হামলা গুরুতর আহত হয় ভাই রাহাত কবির আলম (২৩)। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। নিহত রাহাত কবির আলমের বাড়ি উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের ভাটি জগতচর গ্রামে। তার পিতার নাম খুরশিদ আলম। নিহতের ভগ্নিপতি সুজন মিয়া শনিবার সকালে বাদী হয়ে রকি ও শাওন নামে দুই বখাটেকে আসামি করে কুলিয়ারচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

(এসএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৪, ২০২১)