নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের কালিয়ায় পুলিশের সাথে ক্রস ফায়ারে তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী ও ডাকাত সর্দার  সেকেন্দার আলী ওরফে সেকেন নিহত হয়েছে। এসময় দুটি অস্ত্র ও ৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সময় ৩জন পুলিশ  সদস্য আহত হন। বুধবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

তার বিরুদ্ধে কালিয়া, নড়াগাতী, তেরখাদাসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা ও অস্ত্র আইনের মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার এক নম্বর তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী এবং কালিয়া থানার একটি অস্ত্র মামলায় ১০বছর ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামী।

কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মতিয়ার রহমান জানান, কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের হরিষপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে সেকেন্দারকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে বড়নাল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই মোঃ ফারুক হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ তার গ্রাম হরিষপুর থেকে একটি হত্যা মামলায় আটক করে।

রাতে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার কাছে অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করলে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানে বের হয়। এক পর্যায়ে সেকেনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বড়নাল-ইলিয়াসাবাদ ইউনিয়নের বিজয়নগর কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশের মেহগিনি বাগান থেকে একটি শ্যাটার গান, একটি পাইপগান, ৫ রাউন্ড শাটারগানের গুলি, ২ রাউন্ড রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার অভিযান শেষে তাকে নিয়ে ফেরার পথে ২শ’ গজ দূরে পৌছাঁনো মাত্র তার সহযোগিরা তাকে ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে অতরির্কত গুলি চালায়। এসময় আসামী পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ জান, মাল,অস্ত্র গুলি এবং হেফাজতে থাকা আসামীকে রক্ষায় শর্টগানের গুলি চালায়। সন্ত্রাসীরাও পাল্টা গুলি চালায়।

এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে পাশের মেহগিনি বাগান থেকে আহত তিন পুলিশ সদস্য এস আই নজরুল, কনষ্টেবল টিপু ও আশরাফুল এবং আহত আসামী সেকেন্দারকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়য়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেকেন্দারকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে কালিয়া, নড়াগাতী, তেরখাদাসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা ও অস্ত্র আইনের মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। কালিয়া থানার একটি অস্ত্র মামলায় ১০বছর ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। জেলা বিশেষ শাখার এক নম্বর তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী।

(টিএআর/এএস/সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৪)