ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সারাদেশে যখন বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।তখন ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের সদর ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলায়।দুই উপজেলার অধিকাংশ বিদ্রোহী প্রার্থীরা ঝিনাইদহ-২ আসনের সাংসদ তাহজিব আলম সিদ্দিকী সমির অনুসারী বলে অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ঝিনাইদহ-২ আসনের সাংসদের ব্যক্তিগত সহকারী কামাল হোসেন।পরবর্তী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।সাংসদের আরেক অনুসারী কাপাসাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শরাফৎ দৌলা ঝন্টুও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন পরে না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।

এদিকে সদর উপজেলার পদ্মকর ইউনিয়নেট বিকাশ বিশ্বাস, কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলাম, হরিশংকরপুর ইউনিয়নে ফারুকুজ্জামান ফরিদ, কালীচরণপুর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর হোসেন এরা প্রত্যেকেই সাংসদের অনুসারী এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়ন জন্য আবেদন করেছিলেন।পরবর্তীতে তারাসহ সাংসদের বেশ কয়েকজন অনুসারী মনোনয়ন না পেয়ে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণ করছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের দলীয় সাংসদের অনুসারীরা নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণ করায় জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা চরম বিভ্রান্তিকর অবস্থায় আছেন। তৃণমূল আওয়ামী লীগের মধ্যেও চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ-২ আসনের সাংসদ তাহজিব আলম সিদ্দিকী সমি'র ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি বলেন,এটা দুঃখজনক ঘটনা। আমাদের দলের মানুষই আমাদের বিরুদ্ধে।তবে জেলা আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থানে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৮ জন প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।আমরা কঠোর অবস্থানে আছি দলীয় স্বার্থের বাইরে কেউ কাজ করলে তার অবস্থা হবে ভয়াবহ।

(একে/এএস/ডিসেম্বর ১৮, ২০২১)