রাঙামাটি প্রতিনিধি : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যার আত্মত্যাগের বিনিময়ে পেয়েছি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, পেয়েছি একটি লাল সবুজের পতাকা তারই সুযোগ্য কন্যা সফল প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের   জননেত্রী শেখ হাসিনা যার চিন্তা চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা গরীব দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়া।সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী ইস্তেহারে ঘোষণা করেন যে প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ থাকবে এবং ২০২১ ভিশন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে।কিন্ত এবারে চট্রগ্রাম  অঞ্চলে  অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তদের নতু সৃষ্টি করে আবার নিয়োগ দিয়েই শুরু হয় সোলার বিতরণ প্রকল্পের কাজ। সরকার থেকে বিনা মূল্যে বলা হলেও সোলার প্যানেল দেয়া হচ্ছে টাকার বিনিময়ে রাঙ্গামাটির সোলার প্যানেল প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার লিটন চাকমা, প্রকল্প সমন্বয়ক হাসান শাহরিয়ার, বান্দরবানের আশুতোষ চাকমা ও খাগড়াছড়ির কামাল উদ্দিন– এ চারজনের বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।

অভিযোগ উঠেছে, চলতি অর্থবছরে পার্বত্যাঞ্চলে বিনা মূল্যে সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্পে কোনো পদ না থাকলেও মন্ত্রণালয়ে তদবিরের মাধ্যমে তিন জেলায় কনসালট্যান্ট পদ বানিয়ে সাতজনকে নিয়োগ দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্পে টাকার বিনিময়ে সোলার প্যানেল দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ পাওয়া যায়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায় ২১৭ কোটি টাকার ব্যয়ে ১৫ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প’ উদ্বোধন হয়েছে।

বান্দরবান জেলার রুমার গ্যালেঙ্গায় এ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। এতে ১২২ পরিবার পাবেন বিনা মূল্য ১৫০ ওয়াটের একটি করে সোলার প্যানেল, চারটি লাইট ও একটি ফ্যান।

প্রকল্পে ৪০ হাজার হোম সিস্টেম ও ২৫০০টি কমিউনিটি সিস্টেম সোলার প্যানেলসহ যাবতীয় সরঞ্জাম দেয়া হবে। এ প্রকল্প শেষ হবে ২০২৩ সালের শেষের দিকে।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্পে টাকার বিনিময়ে সোলার প্যানেল দিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ পাওয়া যায়।২০১৫-১৬ অর্থবছরে সোলার প্যানেল প্রকল্পের বরাদ্দ ছিল ৭৬ কোটি ৬ লাখ ৩১ হাজার টাকা, যার সুবিধাভোগী হোম সিস্টেম ১০ হাজার ৮৯০ এবং কমিউনিটি সিস্টেম ২০ হাজার ৮১৪টি।

বিনা মূল্যের সরকারি সোলার প্যানেল বিতরণের নির্দেশনা থাকলেও সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এসব কাজে ব্যবহার করা হয়েছে কয়েকটি দালাল সিন্ডিকেটকে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কোনো স্টাফ নন এমন কয়েকজন ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে সুবিধাভোগীর তালিকা তৈরি করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে, এ দালাল সিন্ডিকেটের মধ্যে রাঙামাটিতে সুবিধাভোগীদের তালিকা করতেন কে অনিল চাকমা ওরফে জীবন বাপ। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কোনো স্টাফ না হয়েও সোলার প্যানেল পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন বলে অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

এতে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত বলে অভিযোগ। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কয়েকজন চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং এলাকার প্রতিনিধি নামধারী দালালচক্রও এর সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থ ব্যয়ে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে রাঙ্গামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে।

প্রকল্পটি ২০১৫-১৬ অর্থবছর অনুমোদন হয়ে বাস্তবায়ন শুরু হয় পরবর্তী অর্থবছর থেকে। শেষ হয়েছে ২০১৯ সালের জুন মাসের দিকে।

এ প্রকল্পের আওতায় প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় বিদ্যুৎবঞ্চিত পরিবার এবং বিভিন্ন সামাজিক, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিনা মূল্যে সোলার প্যানেল স্থাপন করে দেয়ার কথা।

তবে এই প্রকল্প নিয়ে অবৈধভাবে টাকা আদায়সহ চলছে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি। সম্পূর্ণ সরকারি খরচে সরাসরি সুবিধাভোগীর ঘরে গিয়ে স্থাপন করে দেয়ার কথা থাকলেও তা না করে এক জায়গায় বসে একসঙ্গে অনেককে বিতরণ করা হয়ে থাকে ওই সব সোলার প্যানেল।

প্যানেল নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবহারে সুবিধাভোগীদের নিয়ে প্রশিক্ষণের কথা থাকলেও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নেই।

প্রতিটি সোলার প্যানেল বিতরণের বিপরীতে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ৫-৭ হাজার টাকা করে আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকা ছাড়া বিনা মূল্যের সরকারি সোলার প্যানেল জোটে না।

প্রকল্পে রাঙ্গামাটিতে বিনা মূল্যে সরকারি সোলার প্যানেল স্থাপন নিয়ে দুর্নীতিতে জড়িতদের মধ্যে প্রকল্প সমন্বয়ক হাসান শাহরিয়ার, কারিগরি কর্মকর্তা লিটন চাকমা, অফিস সহকারী সত্যজিৎ চৌধুরী ও দালালচক্রের অনিল চাকমা ওরফে জীবন বাপসহ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট বেশ কিছু ব্যক্তির নাম উঠে আসছে।

প্রকল্প সমন্বয়ক হাসান শাহরিয়ার রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহ আলমের ছেলে। তা ছাড়া সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্যসহ দালাল শ্রেণির স্থানীয় কিছু ব্যক্তিও এর সঙ্গে জড়িত।

মূলত এদের মাধ্যমেই সোলার প্যানেলের বিপরীতে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা আদায় করে থাকেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তবে আদায় করা টাকার একটি ভাগ পান দালালরা। বাকি সিংহভাগ অর্থ ভাগাভাগি হয় প্রকল্প সমন্বয়ক ও কারিগরি কর্মকর্তাসহ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে।

রাঙ্গামাটি সদরের বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের ঝন্টু চাকমা, কালাইয়া চাকমা, জ্যাশন চাকমা, অতীশ চাকমা, রিপন চাকমা, মোহন চাকমা, চিকন চাকমা, অরুণ চাকমা, অমর জ্যোতি চাকমাসহ অনেকে অভিযোগ করে জানান, প্রকল্পে ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও গ্রামে ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৮৮ সোলার প্যানেল দেয়া হয়েছে। ওই সব প্যানেলের সিংহভাগের বিপরীতে দিতে হয়েছে ৫-৭ হাজার টাকা। ওই সব সোলার প্যানেলে শুধু বন্দুকভাঙা ইউনিয়ন থেকে অন্তত ১৫ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।

এসব টাকা দিতে হয়েছে বিতরণকালে উপস্থিত থাকা প্রকল্প সমন্বয়ক ও কারিগরি কর্মকর্তা লিটন চাকমাসহ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট লোকজনকে। এলাকার প্রতিনিধি নামধারী দালাল ব্যক্তিদের মাধ্যমেই টাকাগুলো দিতে হয়েছে।

তা ছাড়া প্যানেলগুলো এক জায়গায় বসে বিতরণ করা হলেও সবগুলো সরাসরি সুবিধাভোগীদের ঘরে গিয়ে স্থাপন করে দেয়া হয়নি। অথচ প্রকল্পে এসব সোলার প্যানেল স্থাপন ও প্রশিক্ষণ নিয়ে আলাদা বরাদ্দ আছে। ভুয়া বিল দেখিয়ে ওই সব খরচের টাকাও আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।

এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রকল্প পরিচালক বরাবরে লিখিতভাবে দাখিল করলেও কোনো লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

সোলার প্যানেল বিতরণের তালিকায় ছিল তপোবন বনকুটির ও বরকল ভূষণছড়ার জুনোপহর উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম। তালিকায় নাম থাকলেও সেখানে দেয়া হয়নি সোলারের কোনো সরঞ্জাম।

এ বিষয়ে নানিয়ারচর উপজেলার ৩ নম্বর বুড়িঘাট ইউনিয়নের তপোবন বনকুটিরের (অনাথ আশ্রম) রঞ্জন বিকাশ চাকমা বাংলা ৭১' কে বলেন, ‘সোলার দেবে বলে টেকনিক্যাল অফিসার লিটন চাকমা তালিকা করেছেন। সোলার প্যানেল যারা পাবে, সেই তালিকায় আমাদের নাম দেখছি। কিন্তু এখনও পাইনি।’

একই কথা বলেন বরকল ভূষণছড়ার জুনোপহর উচ্চ বিদ্যালয়ের সুরেশ সুর চাকমা। তিনি বাংলা ৭১'কে বলেন, ‘নাম জমা নিছে। এখনও খবর নেই।’

খোঁজ নিয়ে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছর এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সোলার প্যানেল বিতরণে রাঙ্গামাটির বরকল এবং লংগদু উপজেলার বহু মানুষের কাছ থেকে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে। আদায় করা টাকা দেয়া হয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অফিস সহকারী কম্পিউটার অপারেটর সত্যজিৎ চৌধুরীর কাছে। আর টাকা আদায় করা হয়েছে স্থানীয় কিছু দালাল শ্রেণির ব্যক্তির মাধ্যমে, যাতে পূর্বসম্মতি ছিল রাঙ্গামাটির প্রকল্প সমন্বয়কের।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন সত্যজিৎ চৌধুরী। তিনি বাংলা ৭১' কে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়ার।

রাঙ্গামাটির প্রকল্প সমন্বয়ক হাসান শাহরিয়ার বাংলা ৭১' বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের ভুল থাকবে স্বাভাবিক। গত প্রকল্পে যা হওয়ার হয়েছে, চলতি প্রকল্পে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হবে না। তা ছাড়া আমাদের নাম ব্যবহার করে যদি কেউ সোলার প্যানেল দেয়ার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়, তাহলে তা আমাদের কপালের দোষ। প্রকল্পে সরকারি টাকায় সম্পূর্ণ বিনা খরচে সোলার প্যানেল স্থাপন করে দেয়া হচ্ছে।

‘এতে কেউ কাউকে টাকা দিয়েছেন কি না, তা নিয়ে তথ্য-প্রমাণাদিসহ লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে সত্যতা যাচাই করা হবে। সুবিধাভোগী প্রতিটি ঘরে গিয়ে সোলার প্যানেল স্থাপন করে দেয়া হয় এবং পরে প্রশিক্ষণসহ ব্যবহারবিধির বই দেয়া হয় তাদের হাতে।’

রাঙামাটির সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার লিটন চাকমা বাংলা ৭১'কে বলেন, ‘কনসালটেন্ট পদে আমাকে ও শাহরিয়ারসহ মোট সাত জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্পে অতীতে যা হয়েছে, বাদ দেন। সামনে ভালো কিছু করার চেষ্টা করা হবে। তিনি আরোও বলেন, নিউজ করলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে। এমনি অনেক সমস্যায় আছি।’

খাগড়াছড়ির কমলছড়ির বাসিন্দা বিনতি চাকমা বাংলা ৭১ ' কে বলেন, ‘সোলার দিবে বলে নামের তালিকা দিয়েছিলাম। শুনেছি সোলার প্রকল্প শেষও হয়েছে। কিন্তু এখনও সে সোলার বাড়িতে আসল না। প্রধানমন্ত্রীর বিনা মূল্য সোলার প্রকল্পেও দুর্নীতি হয়!’

তবে এসব কিছু জানেন না বলে দাবি করছেন খাগড়াছড়ির সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার কামাল উদ্দিন। তার কাছ থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং পদ সৃষ্টি করে নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে রং নাম্বার বলে মোবাইলের কল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়ন করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বাংলা ৭১' কে জানান, অনিল চাকমা ওরফে জীবন বাপ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করা হয়েছে, সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি শাহরিয়ার ও লিটনের সঙ্গে কথা বলে আপনাকে পরে জানাচ্ছি।’

বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় সোলার প্যানেল বিতরণ নিয়েও অভিযোগ উঠেছে সেখানকার টেকনিক্যাল অফিসার আশুতোষ চাকমার বিরুদ্ধে।

থানচি থেকে চহ্লা মারমা বাংলা ৭১' কে বলেন, থানচি ও রুমা উপজেলার এলাকা থেকে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন আশুতোষসহ দালাল সিন্ডিকেট।

এ বিষয়ে অনেকে মুখ খুলতে চায়নি। তবে সোলার প্রকল্পের বিষয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম বিষয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রতিবেদন প্রচার হয়েছে।

জানতে চাইলে বান্দরবান সোলার প্যানেল স্থাপনের টেকনিক্যাল অফিসার আশুতোষ চাকমার সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য বাস্তবায়ন (উপসচিব) কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বাংলা ৭১ ' কে বলেন, ‘প্রত্যন্ত এলাকা, যেখানে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি, সেখানে বিদ্যুতের আলো পৌঁছাবে সম্পূর্ণ বিনা খরচে। যে এলাকায় সোলার স্থাপন করা হবে, সেখানকার কেউ সোলার প্যানেল থেকে বঞ্চিত হবে না।

‘তবে যারা গত অর্থ বছরে সোলার পেয়েছেন, তারা এবার সম্পূর্ণ বাদ যাবেন। প্রতি সুবিধাভোগী এবারে পাবেন ১৫০ ওয়াটের সোলার প্যানেল, ব্যাটারি, চারটি লাইট ও একটি ফ্যান।’

কনসালট্যান্ট পদে নিয়োগ হওয়া অভিযুক্তদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা কনসালট্যান্ট পদে নিয়োগ হয়েছেন, তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে সরাসরি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অতীতে কী অভিযোগ ছিল, আমার জানা নেই। তবে নতুন প্রক্রিয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শতভাগ নিশ্চয়তা দেব।’

অনিয়ম ও দুর্নীতিগ্রস্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কেন পুনরায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে, জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বাংলা ৭১' কে বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্ত সবাইকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তা নয়। দু-একজনের হয়তো নিয়োগ হয়েছে। তা ছাড়া পিডিপির নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি থেকে তাদের পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’

(আরএম/এএস/ডিসেম্বর ২১, ২০২১)