মিলাদ হোসেন অপু, ভৈরব : কিশোগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার  মাইজচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীতা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০০৫ সালের এপ্রিল ২৫ তারিখে আসামি কামাল মিয়া তার দলবল নিয়ে চাপাতি, রড, ক্রিকেট খেলার ব্যাট ইত্যাদি অস্ত্রাদি দিয়া পিটিয়ে রবিউল্লাহকে মারাত্মকভাবে জখম করে। আহত অবস্থায় রবিউল্লাহকে প্রথমে বাজিতপুর ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে ১০ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্য হয়। পরে নিহত রবিউল্লাহর স্ত্রী বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় কামাল মিয়াকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত স্বাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে কামাল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কামাল মিয়া উপজেলার মাইজচর গ্রামের মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে।

রায়ের পর থেকেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কামাল মিয়া ফাঁসি থেকে বাঁচার জন্য দীর্ঘ ১৭ বছর আত্মগোপনে চলে যান। কিন্তু র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামি কামাল মিয়া ভৈরব উপজেলার রসুলপুর গ্রামে দীর্ঘদিন যাবৎ আত্মগোপনে আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার সময় অভিযান চালিয়ে কামাল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।


এই বিষয়ে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের সংবাদ সম্মেলনে জানান, আমরা জানতে পারি মৃত্যুদ-প্রাপ্ত পলাতক এক আসামি ভৈরব উপজেলার রসুলপুর গ্রামে দীর্ঘদিন যাবৎ আত্মগোপনে আছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা আজ ২৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার সময় অভিযান চালিয়ে কামাল মিয়াকে গ্রেফতার করি। গ্রেফতারকৃত আসামিকে গ্রেফতারী সাজা ওয়ারেন্ট মূলে বাজিতপুর থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।

(এম/এসপি/ডিসেম্বর ২৩, ২০২১)