এ কে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ী কালুখালি উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের রুপসা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আঃ খালেক মন্ডলের (৬৫) নামে প্রতিবেশীর জমি জবরদখল করে ভোগ ও ওই সম্পত্তির উপর থাকা আম, মেহগনিসহ অন্যান্য গাছ বিক্রির অভিযোগ এনে থানায় লিখিত দরখাস্ত করেছে একই এলাকার মৃত আছমত আলীর ছেলে মোঃ আঃ কাদের শেখ (৫০)। মোঃ আঃ কাদের শেখ রতনদিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় মসজিদের সভাপতি, তিনি বাদী হয়ে ভাইদের পক্ষে অভিযোগ দায়ের করেন।

উক্ত ঘটনার বিষয়ে বাদী, মোঃ আঃ কাদের শেখ বলেন, আমাদের রুপসা মৌজার, খতিয়ান নং- ৫২৯ ও ২৮, দাগ নং- ৮৯৯ ও ৮৯৮ এখানে আমাদের ২৫ ও ১১ সহ মোট ৩৬ শতাংশ জমি রয়েছে। যেটা আঃ খালেক মাস্টারের বাড়ির সাথে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বুঝতে পারি আমাদের ও দুই দাগে জমি কম রয়েছে। যেটা কি না খালেক মাস্টার ভোগদখল করে আছে। আমি ও আমার ভায়েরা বার বার তাকে বলার পর ও সে জমি মাপতে রাজি হয় না। এক পর্যায়ে গত বছর রাজি হলে সে ও তার ছেলে মোঃ ফিরোজ হায়দার (৪০) এত উপস্থিতিতে ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে মাপামাপি হলে খালেক মাস্টারের বাড়ির সহ তার ভোগদখলে থাকা আরো কিছু জমি (যার পরিমাণ ৮ থেকে ১০ শতাংশ) আমাদের দাগের জমি বলে পরিলক্ষিত হয়। তবে সে পুনরায় ও জমি মাপামাপি করবে বলে এবং তার পর থেকে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে আমাদের প্রলোভন দেখাতে থাকে ও জমি না ছেড়ে কিনে নিতে। এমনকি সে ২৫ হাজার টাকা দরে ২ লক্ষ টাকা দিতে চাইলে আমি ও আমার ভাইয়েরা জমি বিক্রি করতে অস্বীকার করি। এমতো অবস্থায় গত ১৯ ডিসেম্বর দেখতে পাই আমার জমির উপর হতে গাছ কাটা হচ্ছে। এমনকি তাৎক্ষণিক ওই কাটা গাছ অন্যত্র নেয়ার জন্য ১০/১২ টি নসিমন গাড়ি ও ৮/১০ টি ভ্যান রাখা হয়। পরে আমি ও আমার ভাই ছাদেকুর রহমান (৪০) ঘটনা স্থলে গিয়ে বাঁধা প্রদান করলে আঃ খালেক মাস্টার আমার ভাইয়ের উপর তেড়ে আসে এবং তার গলায় থাকা মাফলার দিয়ে গলায় পেচিয়ে ধরে। আমার অনুরোধে আঃ খালেক মাস্টার ছেড়ে দেয় এবং হুমকি দেন আমি মুক্তিযোদ্ধা আমার সামনে আসার ক্ষমতা কেউ রাখে না। আমি এই সব গাছ বিক্রি করবো তুই যা পারিস কর গা। পরে আমি কালুখালি থানা গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। পরে থানা থেকে পুলিশ এসে গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়।

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আঃ খালেক মাস্টার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি রতনদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বলেন।সেখানে গেলে তিনি রতনদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিলুফা ইয়াসমিন এর অফিস কক্ষে বসে বলেন আমি ওদের ২ লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছিলাম তবে ওরা আজ কাল করে আর নেয় নাই। আমি পরর্বতীতে কোন ঝামেলা করবো না তাই টাকা দিয়ে জমি কিনে নিতে চেয়েছি৷ আমার লাগানো গাছ আমি কাটবো ও বাধা দেবার কে। এই জমি ৫০ বছর যাবত আমি ভোগদখল করে আসছি।

রতনদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিলুফা ইয়াসমিন বলেন কালুখালি থানার ওসি ও আমি উপস্তিত থেকে একটা সমাধান করবো। তবে ওসি না থাকায় একটু বিলম্বিত হচ্ছে।

(একেএ/এএস/ডিসেম্বর ২৪, ২০২১)