রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : আগামি ৫ জানুয়ারি আশাশুনি উপজেলায় ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় আওয়ামী লীগ নেতা অহিদুল ইসলামের সমর্থক রুহুল কুদ্দুস শাহ ও একজন ভ্যান চালকসহ তিনজনে পুরাত দু’টি দাসহ কয়েকটি লোহার পাত দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করানোর অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুর একটার দিকে বড়দল মাছের সেটে মাছ বিক্রি করে ফেরার সময় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার রাউতাড়া রাজবংশীপাড়ার সামনে বেড়িবাঁধের উপর থেকে তাদেরকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।

রাউতাড়া এলাকার সলেমান, সামছুর রহমানসহ কয়েকজন জানান, রুহুল কুদ্দুসের নেতৃৃত্বে পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী এলাকা থেকে ভ্যানযোগে বস্তার মধ্যে উক্ত মরিচাযুক্ত রামদাসহ লোহারপাত ও অ্যাঙ্গেল গুলো আনা হচ্ছিল। বিষয়টি তারা জানতে পেরে ভ্যানটি লাউতাড়া গ্রামে পৌঁছালে তারা তাদের আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে রেখে দেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে তারা পুলিশকে জানান। এরপর পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন।

আটককৃত রুহুল কুদ্দুস শাহ জানান, রাউতাড়া সাইক্লোন শেল্টারে একটি ভোট কেন্দ্র হয়েছে। ওই কেন্দ্র থেকে ২০০ হাত দূরে তাদের বসতবাড়ি। বসত বাড়ির সামনে আনারস প্রতীকের পোষ্টার ও ব্যানার টানিয়ে তারা নির্বাচন বিধি অনুযায়ি মাইকিং করে যাচ্ছেন।এটা মেনে নিতে পারেনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহানাজ ডালিমের কর্মী সমর্থকরা। এর জের ধরে বিরোধী দলের প্রার্থীকে পর্যুদস্ত করার অংশ হিসেবে সোমবার দুপুর একটার দিকে বড়দল মাছের সেটে মাছ বিক্রি করে শিশু সন্তান ও ঘের মালিক ইনসাফ সরদারকে বাড়ি ফেরার সময় রাজবংশীপাড়ার বেড়িবাঁধের উপর তাদের বহনকারি ভ্যানচালক মিজানুর রহমানকে আটক করে নৌকার সমর্থক কুখ্যাত বনদস্যু সলেমান ও তার লোকজন। তাদের কাছে জোর পূর্বক বস্তাভর্তি দু’টি পুরাতন দা ও কিছু লোহার পাত ধরিয়ে দিয়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আটক রাখে। তবে যথা সময়ে পুলিশ আসায় তারা নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পান। তারা এর যথাযথ তদন্ত দাবি করেন।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কবির জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে থানায় আনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত করা হবে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আরো জানান।

(আরকে/এসপি/ডিসেম্বর ২৮, ২০২১)