রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরায় মানবাধিকার পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়ে এইচআরডি নেটওয়ার্কের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ডিএইচআরএনএস প্রকল্প সভাপতি অ্যাড. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ঠ মানবাধিকার কর্মী মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউণ্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাড. সুলতানা কামাল।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার ফাউণ্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাড. সাঈদুর রহমান, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ আহম্মেদ বাপ্পি, সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবু আহম্মেদ,জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিম, সাংবাদিক এম কামরুজ্জামান, মানবাধিকার কর্মী রঘুনাথ খাঁ, শিক্ষক শম্পা গোস্বামী, অ্যাড. নাজমুন্নাহার ঝুমুর, অ্যাড. শাহানাজ পারভিন মিলি, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাস,গণফোরাম নেতা আলী নুর খান বাবুল, অ্যাড. মনিরউদ্দিন, মানবাধিকার কর্মী ফরিদা আক্তার বিউটি প্রমুখ।

প্রধার অতিথি বলেন, বিএনপি বঙ্গবন্দু হত্যার পর সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা ছিল। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুযায়ি উল্লেখিত সকল দাবি নিয়ে সোচ্চার হতে হবে। দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণহানির টাকা টাকা দিয়ে ক্ষতিপূরণ দিলে সরকারের দায় শেষ হয়ে যায় না। আন্তজার্তিক স্তরে বাংলাদেশের মানবাধিকার সূচক ক্রমশঃ কমে যাচ্ছে উল্লেখ করে অ্যাড. সুলতানা কামাল বলেন, প্রতিকারহীনতা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নামে ক্ষমতায় থা বেন আর জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকবে না এটা হতে পারে না।

মুক্ত আলোচনায় সাতক্ষীরায় সম্প্রতি গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে গত ১২ ডিসেম্বর বাবলু সরদারের মৃত্যু, বৈচানা গ্রামে জনৈক মনিরুলকে পিস্তল ও গুলি দিয়ে পরিকল্পিত গ্রেপ্তারের চেষ্টার প্রতিবাদ করায় নিরীহ আব্দুল কাদের ও ভাই কাশেমকে অস্ত্র ও গুলি দিয়ে র‌্যাব এর মামলা, সদরের ঝিটকিতে নিয়ম বহির্ভুতভাবে ঘুম থেকে তুলে এনে পরিবারের স্বজ দের ছাড়াই দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র সৌমিক মণ্ডলকে আসামী করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যার সম্পর্কে কোন সম্পৃক্ততা না থাকার পরও তার নামে মামলায় অভিযোগপত্র দিয়ে পুলিশি হয়রানি, আশাশুনির প্রতাপনগরে ১৩টি সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ির উপর দিয়ে পরিকল্পতভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে ক্ষতিপূরণ ছাড়াই আশ্রয়হীন করার চেষ্টা, ২০১৭ সালে ছাত্রলীগ নেতা ইমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রকৃত আসামী মামলার বাদি প্রভাব সৃষ্টি করে বারবার তদন্তকারি পরিবর্তন করে তদন্ত বিলম্বিত করা, বাল্যবিব হের হার বৃদ্ধি, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া ২০১৫ সালে সাতক্ষীরা সদর থানা লকআপে তিন দিন আটক রেখে ডাক্তার মোখলেছুর রহমানকে খুঁজে না পাওয়ার বিষয়টিও আলোচিত হয়।

(আরকে/এসপি/ডিসেম্বর ২৮, ২০২১)