কটিয়াদী প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বনগ্রাম আনন্দ কিশোর স্কুল এন্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী মোছাঃ শান্তা ইসলাম (১৪) ইভটিজিং এর শিকার হয়ে করায় আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

মঙ্গলবার দুপুরে বনগ্রাম স্কুলের সামনে এ ঘটনায় জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তারা, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানায়।

শান্তার মা ও পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, শান্তা বনগ্রাম ইউনিয়নের কুড়িয়াপাড়া গ্রামে মামার বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করত। বখাটে আকাশ মিয়া (২৫) দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় উক্ত্যক্ত করে আসছিল। বখাটে আকাশ বনগ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে। গত ২৫ ডিসেম্বর শান্তা স্কুলে আসলে দুপুর ১২টার দিকে আকাশ তার বন্ধু আরমান মিয়া (১৯) ও ইমন মিয়া (২০) এর সহযোগিতায় জোরপূর্বক স্কুলের পিছনে নির্জন জায়গায় নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করে এবং তাদের মোবাইলে সেই অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। ঐ সময় তার আত্মচিৎকারে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আকাশ ও তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা আপত্তিকর ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। খবর পেয়ে শান্তার মা শাহানা আক্তার এসে বিষয়টি স্কুলের শিক্ষক ও কমিটিকে জানায় এবং ঘটনার বিচারের দাবি করেন।

পরে বাড়িতে ফিরে ওই দিন বিকালে শান্তা তার ব্যবহৃত ওড়না দ্বারা সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে জানান তার মা। শান্তার মা শাহানা আক্তার প্রতিবেদককে আরও বলেন, এ ঘটনায় অপমান সইতে না পেরে লজ্জা ও ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছে শান্তা। আমি এর বিচার চাই।

কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের ধরতে অভিযান চলছে।

(ডিআর/এসপি/ডিসেম্বর ২৮, ২০২১)