গৌরীপুর প্রতিনিধি : ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার একটি ইউনিয়নের পুণঃনির্বাচন ও একটি ইউনিয়নের নির্বাচনে দুটি ভোটকেন্দ্রের ভোট পুনঃগণনার দাবিতে বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) ও মঙ্গলবার বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ ও নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী। 

বুধবার সহনাটি ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী শামছুজ্জামান জামাল দুটি কেন্দ্রের ভোট পুনঃগণনার দাবিতে কয়েকহাজার মানুষ গৌরীপুর-বেখৈরহাটি সড়ক ৩ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গিয়ে জনতাকে বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে শামছুজ্জামান জামাল একই দাবিতে ময়মনসিংহ জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। পরে গৌরীপুর শহরে বিক্ষোভ করে উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়।

এসময় তারা প্রায় তিন ঘন্টা গৌরীপুর প্রবেশের মুল সড়ক অবরোধ করে রাখে। ভোটকেন্দ্র দুটি হল-ধোপাজাঙ্গালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ভালুকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পরে মঙগলবার নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন তিনি। প্রশাসনের আশ্বাসে জনতা অবরোধ তোলে নেয়।

এসময় শামছুজ্জামান জামাল বলেন, দুইটি ভোটকেন্দ্রের ভোটের ফলাফল অনিয়ম ও কারচুপি করে আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। তাই ভোট পুনঃগণনার দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছি। প্রশাসনের কর্মকর্তারা আমাদের এই বিষয়ে আইনগত সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। আমি যেন ন্যায় বিচার পাই এটাই দাবি। যদি ন্যায় বিচার না পাই তবে আবারও কর্মসূচী দেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ স্মারকলিপি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্মারকলিপি ঊর্ধ্বতন কর্র্র্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করা হবে এবং এই বিষয়ে আইনগত ভাবে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।

এছাড়া একইদিন উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রাথী আওয়ামী লীগ মনোনীত শহীদুল হক সরকার নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে পুণঃনির্বাচনের দাবীতে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের গাজীপুরে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধর করে।

(এস/এসপি/ডিসেম্বর ২৯, ২০২১)