রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নে নৌকা ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার  সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বংশীপুর বাসস্ট্যান্ডে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নৌকার প্রার্থী শোকর আলী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদেকুর রহমান সাদেমের কর্মী-সমর্থকরা মিছিল বের করে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বংশীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি মিছিল পরস্পরকে অতিক্রমের সময় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। এসময় দুই পক্ষই একে অপরের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের শতাধিক কর্মী সমর্থক বংশীপুর বাসস্ট্যান্ডের বিভিন্ন অংশে অবস্থান নিয়ে পরস্পরের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।

খবর পেয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এসময় পুলিশ ১৯ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাদেকুর রহমান সাদেম এর ভাই আবদুল ওহাব জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে বর্তমান চেয়ারম্যান নৌকার প্রার্থী শোকর আলীর লোকজন। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় তাদের ২৫/৩০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন।

এদিকে জিএম শোকর আলীর কর্মী হাবিবুর রহমান জানান, সাদেকুর রহমান সাদেমের কর্মী-সমর্থকরা কোন উস্কানী ছাড়াই তাদের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালায়। প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে তাদের ৩০ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন বলেও তিনি দাবি করেন।

শ্যামনগর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, আহতদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, গুলিবিদ্ধ কয়েকজনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে উপপরিদর্শক নুর কামাল বাদী হয়ে উভয় পক্ষের ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও শতাধিক লোকজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ৩০, ২০২১)